• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তাপস পালের শেষযাত্রাতে মমতাকে পালটা খোঁচা বাবুল-সায়ন্তনের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৯:২৯ পিএম
তাপস পালের শেষযাত্রাতে মমতাকে পালটা খোঁচা বাবুল-সায়ন্তনের

ঢাকা: তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা-সাংসদের মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের এভাবেই পালটা দিলেন বিরোধী শিবিরের বাবুল-সায়ন্তন এবং জয়প্রকাশ মজুমদাররা। শেষযাত্রাতেও তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে অকারণে লাঞ্চনা এবং গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে প্রাক্তন সাংসদকে। মৃত্যুর আগে তাপস পাল ভিতর থেকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার হয়েই অসময়ে চলে যেতে হল তাপস পালকে। 

মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে ঝাঁজালো মন্তব্য করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।  

তিনি বলেন, শিল্পী তাপস পালকে সবাই মনে রাখবে। কিন্তু ব্যক্তিবিশেষে আমাদের প্রত্যেকেরই তো কাটাছেঁড়া হয়। ওঁর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বেশ কিছু কাজের জন্য উনি সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু আজ সেসব কথা বলার সময় নয়। রবীন্দ্রসদনে মরদেহ শায়িত। সেখানে গিয়েও রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান-কাল জ্ঞান নেই। 
আজকে উনি বিজেপি সরকারকে দুষছেন, এতদিন কোথায় ছিলেন? ভুবনেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন তো পাশের ঘরে তাপস পালও ছিলেন। একবারও কি তখন মনে পড়েনি ওঁর সঙ্গে দেখা করার কথা! তাপস পালের সেগুলো খারাপ লাগেনি! নিশ্চয় লেগেছে।

সায়ন্তন বসু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। তাপস পাল আসলে তৃণমূলের অন্দরেই অবহেলিত ছিলেন। গত ২-৩ বছরে যাঁরা তাপস পালের পাশে ছিলেন, তাঁদের সবার খবর আমার কাছে রয়েছে। ওর পরিবারকেই জিজ্ঞেস করুন, সব জানতে পারবেন! দুঃসময়ে তো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তাপস পালের পাশে দাঁড়াননি। আজ ওঁর মুখে এই কথাগুলো বেনমানান। এখন তো কুণাল ঘোষের কথা নিয়েই বলতে হয় যে, ‘যেই তৃণমূলে যায়, তারই জীবন শেষ হয়ে যায়!’ মরে যাওয়ার পর কেন রাজনীতি করছেন মমতা?” প্রশ্ন তুলে তোপ বাবুলের।

মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিয়ে তিনি বললেন, মৃত্যুর মধ্যেও রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা মমতা। তাপসের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চলছে। ওঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। সিবিআইয়ের নজরে তো আরও অনেকে রয়েছে। তাপস পালের থেকেও বেশিদিন জেলে রয়েছে। থেকেছে। তাদের নিয়ে তো কোনও কথা বলছেন না। ওরা রাজ্যের মানুষের টাকা খেয়েছে। কত লোক ওদের জন্য আত্মহত্যা করেছে। না খেয়ে মরেছে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কথা ভুলে গিয়ে তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।

জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, চিটফান্ডের জন্য তো বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে মমতা। বাংলার মানুষদের কথা কি মনে পড়ে না মমতার? প্রতারিতদের কি মনে পড়ে না? নারদা-সারদা প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বললেন, তৃণমূল হিংসার রাজনীতি ছড়াচ্ছে। সংস্কৃতি নষ্ট করছে। যখন তাপস পালকে দেখার ছিল, তখন তো দেখতে যাননি।
 
সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!