• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা’ প্রকাশ ৪৫ দাবির প্রতিফলন প্রত্যাশা


ঢাবি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৫, ২০১৮, ০২:৩৩ পিএম
‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা’ প্রকাশ ৪৫ দাবির প্রতিফলন প্রত্যাশা

ঢাবি : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের একটা বড় অংশই তরুণরা। তাদের ভোট পেলে সহজেই পার হওয়া যাবে নির্বাচনী বৈতরণী। তাই ইশতেহারে তরুণদের নানা সুবিধা রাখার পরিকল্পনা রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলো।

এদিকে ইশতেহারে নিজেদের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে তরুণরাও প্রকাশ করেছে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা’।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ ঘোষণা করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, নুরুল হক নুর ও ফারুক হাসান।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে ৪৫টি দাবিসংবলিত এই ইশতেহার ভাবনা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে। গণফোরামকেও সেটি পাঠানোর পরিকল্পনা আছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের।

দলগুলোর ইশতেহারে তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের নিশ্চয়তা প্রদান, বেকার তরুণদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, কোটা সংস্কার, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধসহ তাদের ৪৫টি দাবি গুরুত্ব সহকারে স্থান পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তরুণরা।

নিখিত বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য দাবি হচ্ছে— ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; চাকরির আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রি করা; প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এবং লিখিত পরীক্ষার ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ; মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ নির্ধারণ; তথ্য যাচাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ; বেসরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক নিয়োগ পরীক্ষা প্রণয়ন; বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা; মেধাপাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ; ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা; আবাসনের কৃত্রিম সংকট দূর করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা; শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেতন কাঠামো তৈরি; মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা; যুবসমাজকে গণতান্ত্রিক পরিবেশে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দিতে যুব অ্যাসেম্বলির আয়োজন করা এবং সেখানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ছাত্র সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা।

এদিকে তারুণ্যের ইশতেহার দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, তিনি নিজে তাদের ইশতেহার ভাবনার একটি কপি বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। আর আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!