• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তালিবানের সকল খরচা বহনে পেন্টাগনের সম্মতি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ১৮, ২০১৯, ০১:৫১ পিএম
তালিবানের সকল খরচা বহনে পেন্টাগনের সম্মতি

কাতারে আফগান তালিবান ও মার্কিন কর্তৃপক্ষের বৈঠক। (ছবিসূত্র : এপি নিউজ)

ঢাকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে তালিবান নেতাদের যে ভ্রমণ খরচ হচ্ছে, তা পরিশোধের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটাল হিল কমিটির পক্ষ থেকে সশস্ত্র এই জঙ্গি সংগঠনটির থাকা-খাওয়ার খরচ মেটানোর জন্য করা অনুরোধ এরই মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন আইন প্রণেতা।

শুক্রবার (১৭ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’কে তিনি বলেন, ‘এতে করে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের সমর্থন করার অভিযোগ উঠতে পারে। যে কারণে বিষয়টি নাকচের পথে হাঁটছে পেন্টাগন।’

এর আগে পেন্টাগন জানিয়েছিল, চলমান শান্তি আলোচনাকে আরও সহজতর করতে তালিবানদের এই তহবিল ব্যবহার করার অনুরোধ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবান প্রতিনিধিরা মোট ছয় দফায় আলোচনায় বসেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে কাতারের রাজধানী দোহায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্ডিয়ানার প্রতিনিধি পিটার ভিসক্লোস্কির মুখপাত্র কেভিন স্পাইসার পেন্টাগন বলেন, ‘তালিবানদের যে তহবিল গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল; এর মধ্যে তাদের চলমান বৈঠক সংশ্লিষ্ট নানা খরচের কথা উল্লেখ ছুল। সেখানে তালিবান নেতাদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়াদের খাবার, বাসস্থান ও যাতায়াত যাবতীয় ব্যবস্থার খরচ অন্তর্ভুক্ত করা ছিল।’

কেভিন স্পাইসার আরও বলেন, ‘২০২০ অর্থবছরে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তালিবান নেতাদের বিভিন্ন সমন্বয় কার্যক্রমসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯ অর্থবছরের তহবিল থেকেও এই একই খাতে অর্থ ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত বুধবার ভিসক্লোস্কির সভাপতিত্বে হাউস অনুমোদন প্রতিরক্ষা উপকমিটি তালিবানদের এই বৈঠকে খরচ বাবদ প্রায় ৬৯০ বিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দেয়।

সেই আইনসভায় বলা হয়, তালিবান সদস্যরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বৈঠকে অংশ নেয় তাহলে তাদের এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। যা কখনই আফগান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় অথবা নারীদের অংশগ্রহণে বাধাগ্রস্ত করে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র রেবেকা রেবারিচ বলেন, ‘২০১৮ সালের জুন মাসে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি বৈঠক বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এমনকি সেই বৈঠকের যাবতীয় অর্থায়ন পেন্টাগন করবে বলেও জানানো হয়।’

রেবেকা রেবারিচ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে সহিংসতার মাত্রা কমানোর জন্য জঙ্গি সংগঠনটিকে নিজেদের সকল দাবিদাওয়া জনসম্মুখে পেশ করার সুযোগ দেওয়াটা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর এবার সে সুযোগ তৈরি করার জন্যই এই আর্থিক সহায়তা প্রদানের চিন্তা করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন :- অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

মারিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ অর্থবছরের জন্য ইতোমধ্যে তালিবান সংশ্লিষ্ট একটি প্রস্তাব আইনসভায় পেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেবেকা। টানা ১৭ বছর যাবত চলা ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব্য উপায় হিসেবে এই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ বলে দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের। সূত্র : ‘বিবিসি নিউজ’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!