• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাহিরপুর থানার আলোচিত সেই এএসআই জহিরুল বদলি


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ১১:০৮ এএম
তাহিরপুর থানার আলোচিত সেই এএসআই জহিরুল বদলি

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার আলোচিত এএসআই জহিরুল ইসলামকে শাল্লা থানায় বদলি করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায়  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম)।

তিনি জানান, সোমবার দুপুরে এক দাফতরিক আদেশে তাকে বদলি করা হয়। একই আদেশে তাকে দ্রুত জেলার শাল্লায় থানায় যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু বদলি ঠেকাতে রহস্যজনক কারণে থানার দায়িত্বশীলরা তার বদলির বিষয়টি চেপে রাখেন।

এএসআই জহিরুল ইসলাম জেলার ছাতক থানা থেকে চলতি বছরের ৯ জুলাই তাহিরপুর থানায় তদবীর করিয়ে বদলি হয়ে আসেন।

এরপর থানার আওতাধীন বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন। বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করার পরই পরই বালু পাথর সমৃদ্ধ সীমান্ত নদী জাদুকাঁটায় উওরসুরীদের ন্যায় মনোযোগী হয়ে আলোচিত হন এএসআই জহিরুল। এরপর জাদুকাঁটা নদীতে পরিবেশ ধ্বংসী অবৈধ সেইভ মেশিনে ও নদীর তীর কেটে বালু পাথর লুটেরাদের সাথে গোপন সমঝোতা করেন।

অভিযোগ উঠেছে, ঘাগটিয়ার গ্রামের জাদুকাঁটা নদীর তীরে থাকা বালু পাথর সমৃদ্ধ ভূমির কথিত মালিকানা দাবিদার ও একাধিক প্রভাবশালীদের সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত নদীর চর, নদীর তীর ও খাস ভূমি থেকে দিনে সেইভ মেশিনে এমনকি কোনো কোনো সময় রাতের আঁধারে নদীর তীর কেটে বালু পাথর লুটের সুবিধা দিয়ে ওই এএসআই নৌকা, ট্রলার ও প্রতি ফুট হারে বখরা আদায় করত।

হঠাৎ করেই টাকার খনি খ্যাত কর্মস্থল হতে বদলীর আধেম পেয়ে এএসআই জহির ব্যস্ত হয়ে পড়েন বদলি ঠেকাতে। দিনরাত শ্রমিক সর্দার, বালু পাথর ব্যবসায়ীদের নিকট হতে পুরনো বকেয়া আদায়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা,বালু পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্র ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন বদলি ঠেকাতে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এএসআই জহিরুলের সাথে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাহিরপুর থেকে শাল্লায় বদলির বিষয়টি স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে জাদুকাঁটা নদী কেন্দ্রিক ও বালু পাথর লুটেরাদের সহায়তা করার বিনিময়ে কোনো রকম সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!