• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সাংবাদিক মিঠু হত্যা

তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ১, ২০১৮, ০৭:১০ পিএম
তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

ঢাকা : আট বছর আগে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার ক্যামেরা পারসন শফিকুল ইসলাম মিঠুকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তিন আসামির আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভাবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতির কামরুল হেসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেন।

ঢাকার জজ আদালত ২০১৩ সালে আসামি রতন মিয়া, সুজন ও রাজু ওরফে জামাই রাজুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। তাদের আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি রতন মিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনোয়ারুল ইসলাম। আর আসামি সুজন ও রাজুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ‘রায়ে সন্তুষ্ট হলেও আমি আশা করেছিলাম সাংবাদিক মিঠুর সহকর্মীরা বা তার অফিস এ মামলার খোঁজ-খবর রাখবে, কিন্তু সেটি হয়নি।’

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, আসামিদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ ক্যামেরাপারসন মিঠু (৪০) থাকতেন ঢাকার দক্ষিণখানের কাউলা মধ্যপাড়া মেম্বারবাড়ি এলাকায়।
২০১০ সালে ৮ মে রাতে অফিস শেষে কারওয়ান বাজারে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় একটি ছিনতাইকারী চক্র তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।

ছিনতাইয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে মিঠুকে হত্যা করে আসামিরা। পরে মিঠুর লাশ তুরাগ থানার রোস্তমপুর এলাকার বেড়িবাঁধের ঢালে ফেলে যায় তারা।

মিঠু রাতে বাসায় না ফেরায় পরদিন সকালে তার ছোটো ভাই রহমত উল-ইসলাম দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় লাশ পাওয়া গেলে রহমত তা সনাক্ত করেন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ ১৩ মে আসামি রতনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন হাকিম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিঠু হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি।

এর দুই দিন পর আরেক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মীর্জাপুরে গ্রেপ্তার হন অপর দুই আসামি রাজু ও সুজন। তারাও পরে হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আসামিদের জবানবন্দিতে মিঠু হত্যার হোতা হিসেবে রাহাতের নাম আসে। মামলার তদন্ত চলাকালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রাহাত।  
তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তুরাগ থানা পুলিশ আদালতে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়।

ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ২৬ ফব্রæয়ারি এ মামলার রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
ওই রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স ও রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল আসে হাই কোর্টে। পেপারবুক আকারে পরে তা আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

টানা এক সপ্তাহ শুনানির পর হাই কোর্ট গতকাল তিন আসামির সাজা বহাল রেখে এই রায় দিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!