• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন কারণে নির্বাচনে গিয়েছিল বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯, ০৭:৪০ এএম
তিন কারণে নির্বাচনে গিয়েছিল বিএনপি

ঢাকা : তিনটি কারণে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি  স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, প্রথমত- একটা বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যেতাম তাহলে আপনারাই বলতেন না গিয়ে ভুল করেছেন। দ্বিতীয় কারণ হলো- নির্বাচনে গেলে আমাদের নেতাকর্মীরা বের হয়ে আসতে পারবে। মানুষের কাছে যেতে পারবে। দলটি আগের চেয়ে চাঙ্গা হবে। আরেকটা কারণ ড. কামাল হোসেনের ওপর অন্ধ বিশ্বাস ছিল।

নির্বাচন এতোটা খারাপ অবস্থা হবে তা আমাদের কারো ধারণায় ছিল না।

তিনি বলেন, নির্বাচন এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, আমাদের একজন প্রার্থীকেও ৯০ ভাগ সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা চালাতে দেয়নি। একদিকে প্রার্থীদের ও নেতাকর্মীদের বাড়ির পাশে বোমা ফাটিয়েছে আওয়ামী লীগ। গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় ভয়ভীতি ছড়িয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে যেন তারা ভোটকেন্দ্রে না যায়। গ্রামের বয়বৃদ্ধা মহিলাদের বলেছে ভোট দিতে গেলে বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হবে। ছেলেদের জেলে পাঠানো হবে।

 বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনেত্রীর সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখা হয়েছে। তিনি একেবারেই হাঁটতে পারেন না। দুই হাতেই প্রচণ্ড ব্যথা। শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ। মওদুদ বলেন, এখন দেশে কোনো সভ্যতা নেই। সরকার যে ফরমুলা করেছে এখান থেকে আমাদেরও মুক্ত হওয়া সম্ভব না। খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করা সম্ভব না। আর যতোদিন সম্ভব না হবে ততোদিন দেশে সভ্যতাও ফিরে আসবে না।

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে। এই আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আইনজীবী ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু আন্দোলন বললেই আন্দোলন হবে না। সারা দেশে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলে তারা আপনাদের জন্য বা খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন করবে। দলকে তৃণমূল থেকে পুনর্গঠন করতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বে আনতে হবে। তাহলে আন্দোলন করার মানুষ পাওয়া যাবে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আইনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। আবার আমরা আইনজীবীরা মাঠেও নামতে পারি না। তবে এর মাঝখানে একটা উপায় আমাদের বের করতে হবে। আইনজীবী ও মাঠের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে আন্দোলনের একটা উপায় বের করতে হবে।

আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মনির হোসেন, এসএম কামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৭ ও ২৮ তারিখ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভা শেষে এ নির্বাচনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্যানেল পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। 

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!