• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
সংসদে প্রশ্নোত্তর

তিন বাহিনীতে আসছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম


সংসদ প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৮, ১২:৩৯ পিএম
তিন বাহিনীতে আসছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

ঢাকা : প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংসদের কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে নতুন ২৫টি ইউনিট গঠনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বাহিনীগুলো নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিন বাহিনীতে এরই মধ্যে যেসব আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে তা উলে­খ করেন।

সেনাবাহিনী নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, বিওএফের অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ভিসোরাদ মিসাইল উৎপাদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নৌবাহিনীর বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড (সিডিডিএল) এ বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফ্রিগেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকা টহলের জন্য ৬টি ফ্রিগেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারির জন্য ২টি এমপিএ কেনা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি ২টি হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন ২টি ফ্রিগেট, এমসিএমভি, সাবমেরিন রেসকিউ ভেসেল, লজিস্টিক শিপ, প্যাট্রোল ক্রাফট, ওশান টাগ, ফ্লোটিং ডক ইত্যাদি কেনা পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার, জহুরুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এবং অগ্রবর্তী ঘাঁটি কক্সবাজারে ৪টি এটিএস র‌্যাডার স্কোয়াড্রন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব র‌্যাডার স্কোয়াড্রনের সংস্থাপন প্রস্তাবগুলো ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে মোতায়েনের জন্য এক স্কোয়াড্রন মাল্টি রোল যুদ্ধ বিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশালে বিমানবাহিনীর পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর গৃহীত পরিকল্পনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ঘাঁটি স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আনিসুল হক আরো জানান, আগামী ২ অর্থবছরে সিলেট সেনানিবাসে ১১টি ইউনিট/সদর দফতর গঠন করা হবে। পরবর্তী ৩ অর্থবছরে রামু সেনানিবাসে গঠন করা হবে ১৪টি ইউনিট/সদর দফতর। ২০২৫ সাল নাগাদ মোট ৫৬টি ইউনিট/সদর দফতর গঠন করার কথা রয়েছে। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় সেনানিবাস গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি আরই ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া সেনাবাহিনীতে স্বতন্ত্র আর্মস হিসেবে স্পেশাল ফোর্স গঠনের লক্ষ্যে একটি সদর দফতর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এবং একটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!