• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তিন রুমের ফ্লাটে ঝুলছিল একই পরিবারের ৩ জোড়া লাশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০২০, ০২:৫৬ পিএম
তিন রুমের ফ্লাটে ঝুলছিল একই পরিবারের ৩ জোড়া লাশ

ঢাকা : ভারতের রাজধানী দিল্লির বুরারি এলাকায় গণআত্মহত্যার ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা। এরই মধ্যে আরও একটা গণআত্মহত্যার খবর। এবার তা ঘটেছে আহমেদাবাদে। একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৪ শিশুসহ পরিবারের ছয়জনের মৃতদেহ।
বুরারির ঘটনায় একই ঘর থেকে মিলেছিল ১১টা মৃতদেহ। একইরকমভাবে আহমেদাবাদের ভাটভা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে একই পরিবারের ৬ জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই ভাইয়ের লাশ ঝুলছিল বাসাটির বসার ঘরে। তাদের দুই সন্তানের লাশ ঝুলছিল শোয়ার ঘরে, আরও দুই সন্তানের লাশ ঝুলছিল রান্না ঘরে। দুই ভাই বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের চার শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। আর না ফেরায় খোঁজখব শুরু করেন স্বজনেরা। একপর্যায়ে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ভারতের আহমেদাবাদে ভাটভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে লাশ উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, অমরেশ প্যাটেল (৪২), তাঁর ভাই গৌরাঙ্গ প্যাটেল, তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলে মায়ুর ও ধ্রুব, মেয়ে কৃতি (৯) ও সানভি (৭)। তবে কে কার সন্তান তা পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই দুই ভাই সন্তানদের নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে গত বুধবার (১৭ জুন) নিজ নিজ বাসা থেকে বের হন। তারা পরিবার নিয়ে একই এলাকায় আলাদা আলাদা বসবাস করতেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁকা যে ফ্ল্যাট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেটাও এই পরিবারেরই মালিকানাধীন। এটি তাঁদের পুরোনো বাড়ি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে আরও বলা হয়, ওই দুই ভাই সন্তানদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।

ভাটভা থানার পরিদর্শক ডিআর গোহিল বলেন, ওই দুই ভাইর মরদেহ ফ্ল্যাটের ড্রয়িং রুমে, মেয়ে কৃতি ও সানভির রান্না ঘরে, মায়ুর ও ধ্রুবর লাশ শোয়ার ঘরে পাওয়া গেছে। তাঁদের সবার লাশই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অমরেশ ও গৌরাঙ্গ তাঁদের সন্তানদের চেতনানাশক খাবার খাইয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এর পর নিজেরা আত্মহত্যা করেছেন।

ডিআর গোহিল অমরেশ ও গৌরাঙ্গের স্ত্রীদের বরাত দিয়ে বলেছেন, এই দুই ভাই গত বুধবার সন্তানদের নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নিজ নিজ বাসা থেকে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দুই জা তাঁদের ওই ফাঁকা ফ্ল্যাটে যান। তাঁরা ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখতে পান। পরে মধ্যরাতের দিকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মরদেহগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!