• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সব দল নির্বাচনে আসায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

তিন হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী দেখে বিস্ময়


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১২, ২০১৮, ০৭:৩৪ পিএম
তিন হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী দেখে বিস্ময়

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য জোট ও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

রোববার (১১ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অভিনন্দন জানান তিনি।

গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোট, সেখানে বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদীয় বোর্ডের সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ সংসদীয় আসনে তিন দিনে তিন হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দেখে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মূলত মনোনয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যুতেও কথা বলেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ সময় শরিকদের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে বলেও বৈঠকে জানান শেখ হাসিনা।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ সময় আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পরদিন মঙ্গলবার সব ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর বুধবার সকাল ১১টা থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে সাক্ষাৎকার পর্বটি। এক দিনে এতজনের সাক্ষাৎকারের কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত দলটির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য বলেন, বিভাগওয়ারী প্রার্থীদের ডাকা হবে। প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরকে প্রতিটি আসনে যেকোনো একজন দলীয় প্রার্থী ঠিক করে দেওয়ার আহ্বান জানাবেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুরোধে প্রার্থী ঘোষণার দায়িত্ব নেবেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, সাক্ষাৎকারের দিনই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হবে না। এরপর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগে দল ও তারপর জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে কেবল ১৪ দলের শরিকরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

বৈঠকে নির্বাচন পেছানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির দাবির বিষয়ে আলোচনা উঠলে প্রধানমন্ত্রী জানান, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। আমরা এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে।

সংসদীয় বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রশিদুল আলম। অসুস্থতার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!