• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কের মসজিদে মসজিদে মুরসির গায়েবানা জানাজা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১৮, ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম
তুরস্কের মসজিদে মসজিদে মুরসির গায়েবানা জানাজা

ঢাকা : মিসরের আদালতে মৃত্যুর হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির গায়েবানা জানাজা তুরস্কের সব মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির গায়েবানা জানাজা সব মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। খবর- ইয়েনি শাফাকের।

মুরসি মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। সোমবার তার বিরুদ্ধে বিচারের শুনানির সময় আদালতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেন, প্রেসিডেন্ট তার প্রতীকী জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন। এটি জেরুজালেম থেকে ইস্তান্বুল পর্যন্ত; এটি তুরস্ক ও বিশ্বের সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করবে।

এর আগে সোমবার এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, দেশটির ধর্মীয় প্রধান আলী এরবাস আঙ্কারার হাকি বায়রাম মসজিদে তার জানাজায় ইমামতি করবেন।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী কায়রোর আদালতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আঁতাতসংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় মুরসি দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় মুরসিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রসঙ্গত, মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। টানা ১৮ দিনের গণআন্দোলনে মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে মিসরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

মিসরের আদালত মুরসিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। সে সময় মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। মুরসির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।

২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

তুরস্কে থেকেও ‘ভাই’ মুরসির গায়েবানা জানাজা পড়লেন এরদোগান : মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর পর দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসি ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি মুরসিকে শহীদ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আমার ভাই শহীদ হয়েছেন। শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত মিসরীয়দের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন তিনি, এ কারণে তিনি মুসলমানদের কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এদিকে মিসরে মুরসির জানাজার সময়ে সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার তুরস্কে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

প্রসঙ্গত, মুরসি মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। সোমবার তার বিরুদ্ধে বিচারের শুনানির সময় আদালতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেন, প্রেসিডেন্ট তার প্রতীকী জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন। এটি জেরুজালেম থেকে ইস্তান্বুল পর্যন্ত; এটি তুরস্ক ও বিশ্বের সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করবে।

তুরস্কের ধর্মীয় বিষয়ক পরিচালক বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির গায়েবানা জানাজা মঙ্গলবার দেশজুড়ে সব মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, দেশটির ধর্মীয় প্রধান আলী এরবাস আঙ্কারার হাকি বায়রাম মসজিদে তার জানাজায় ইমামতি করবেন।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, রাজধানী কায়রোর আদালতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আঁতাতসংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় মুরসি দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় মুরসিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। টানা ১৮ দিনের গণআন্দোলনে মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে মিসরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

মিসরের আদালত মুরসিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। সে সময় মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। মুরসির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।

২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!