• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তুহিনের বাবা-চাচা ও চাচাতো ভাই দিলো লোমহর্ষক বর্ণনা


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৮:৪১ এএম
তুহিনের বাবা-চাচা ও চাচাতো ভাই দিলো লোমহর্ষক বর্ণনা

সুনামগঞ্জ : ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে তুলে এনে পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো পুরুষাঙ্গ ও কান কেটে মধ্যযুগের বর্বরতাকেও অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ড। নৃশংস এ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির মিয়া (৩৪) ও আবদুল মছব্বির (৪৫), বাছিরের ভাতিজা শাহরিয়ার (১৭), প্রতিবেশী জমসের আলী (৫০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ফেলা ও পেটে ছুড়ি ঢোকানোর ভয়ানক বর্ণনা দেন তারা। কিন্তু এমন লোমহর্ষক বর্ণনা শুনতেও কষ্ট হচ্ছিল আদালতে উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টদের!

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সুনামগঞ্জ জেলার নিম্ন আদালতে আসামিরা এ জবানবন্দি দেন। শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বাবা বাছির, চাচা নাসির ও শাহরিয়ার। এ তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে শিশু তুহিনের মা মোসা. মনিরার মামলায় পুলিশ তিনজনকে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের হাজির করে। তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ের সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেক শিশুর জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হচ্ছে তার বাবার কোল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিশু তুহিন তার বাবার কোলেই খুন হয়েছে। হত্যার পর শিশুর শরীরের নানা অঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়; দুইটি ছুরি শিশুটির পেটে ঢোকানো হয়েছে। এরপর তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের কাছে শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান অোরো বলেন, রোববার রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় মামলা চলছিল আবদুল বছিরের পরিবারের। ওই মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!