• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘তোমরা নামাজ পড়, আমি পাহারা দেব’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৬, ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম
‘তোমরা নামাজ পড়, আমি পাহারা দেব’

অ্যান্ড্রু গ্রেস্টোন

ঢাকা : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর বিশ্বের সকল মানবতাবাদী মানুষ সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তেমনই একজন ৫৭ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু গ্রেস্টোন। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের লেভেনশুলমের স্থানীয় একটি গির্জার সঙ্গে যুক্ত তিনি।

মুসলমানদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অ্যান্ড্রু গ্রেস্টোন বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা হয়েছে। যদি ব্রিটিশ মুসলমানদের জুমার নামাজে এমনটা হতো, তবে কী ভয়ংকর হতো, সেটা ভেবে আমি শিউরে উঠি। এ ঘটনায় আমরা কীভাবে সাড়া দিতে পারি, তা নিয়ে ভাবতে থাকি। হয় ভয়, না হয় বন্ধুত্ব দিয়ে এমন পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়া যায়। আমি স্থানীয় মসজিদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাইলাম, তারা আমার বন্ধু।’

অ্যান্ড্রু জানান, তিনি লেভেনশুলমের স্থানীয় একটি গির্জার সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, লেভেনশুলম মিশ্র ও বহু সংস্কৃতির মানুষের এলাকা। তবে এখানকার মানুষ বন্ধুত্বের পথই বেছে নেবে। তিনি মদিনা মসজিদের বাইরে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে এখানকার মুসলমানদের প্রতি বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘তোমরা আমার বন্ধু। তোমাদের নামাজের সময় আমি পাহারা দেব।’

এমন উদ্যোগের ভালো প্রতিদান পেয়েছেন অ্যান্ড্রু। তিনি বলেন, ‘আমাকে সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। প্রথমে অবশ্য কেউ কেউ ভেবেছিলেন, আমি মনে হয় কোনো প্রতিবাদকারী। পরে তাঁরা প্ল্যাকার্ডের লেখা পড়ে ও আমার হাসিমুখ দেখে বুঝেছেন যে আমি তাদের বন্ধু হিসেবে এখানে দাঁড়িয়েছি। অনেকেই আমার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। কেউ কেউ আমার জন্য চিকেন বিরিয়ানি পাঠিয়েছেন।’

মদিনা মসজিদের ইমাম জাফর ইকবাল বলেন, নামাজের সময় অ্যান্ড্রুর এই আবেগময় কর্মকাণ্ড তিনি দেখেছেন। ভেতরে থাকা মুসল্লিরা হাততালি দিয়ে তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ মানুষ অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ভালোবাসা দেখাতে অভ্যস্ত। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তারা সমাজের খুবই ক্ষুদ্র অংশ। তারা খারাপ, তাদের কোনো ধর্ম নেই।’

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ৪৯ জন নিহত এবং আরও ৪৮ জন গুলিবিদ্ধ হন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!