• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

থানা হাজতে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু


নাটোর প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম
থানা হাজতে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

নাটোর : জেলার বাগাতিপাড়া মডেল থানায় তিনটি হত্যা মামলার আসামি মহসিন (৩০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মহসিন উপজেলার বেগুনিয়া (চকগোয়াশ) গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে। হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগাতিপাড়া মডেল থানার এসআই প্রশান্ত কুমার জানান, মহসিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার বিভিন্ন রুটে তিন ভ্যানচালককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগে একাধিকবার তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

অবশেষে গোপন সংবাদ পেয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হলে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার মাওনা উত্তর পাড়ার আ. রশীদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। এরপর দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে হাজতের মধ্যে ভেনটিলেটরের গ্রীলের সঙ্গে মহসিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আসামিকে দেওয়া ব্যবহৃত কম্বল ছিঁড়ে রশি বানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত মহসিনের বাবা মহির উদ্দিন বলেন, তিনি সকালে তার মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ঢাকা থেকে ছেলের গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছেন। বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তিনি জানতেন না কোথায় তার ছেলেকে রাখা হয়েছে। একাধিকবার বাড়িতে পুলিশি অভিযানের কারণে গ্রেপ্তার এড়াতে মহসিন প্রায় তিন মাস পূর্বে বাড়ি থেকে ছেলে মোহাম্মদ আলীকে রেখে তৃতীয় স্ত্রী সেলীর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছেলের মৃত্যুর খবর তিনি জানতেন না।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, খবর পেয়ে তিনি থানায় এসে হাজত খানায় ঝুলন্ত অবস্থায় মহসিনের লাশ দেখেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে নাটোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রিপোর্ট লেখা (পৌনে ৬টা) পর্যন্ত নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!