• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

থানায় বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৯, ২০২০, ০৩:০৬ পিএম
থানায় বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই। স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র কোনো অপরাধ সংগঠনের চেষ্টা করছিল। সে সংবাদটির জানার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে এর পরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। পল্লবী থানা ভবন পরিদর্শনের পর এসব বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। 

তিনি বলেন, আধাঘণ্টার মধ্যে দুটি শব্দ হয়েছে আপনারা শুনেছেন। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এক্সপার্টরা ডিভাইসগুলো স্টাডি করার পরে এক্সপ্লোসিভ সমৃদ্ধ দুটি ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে।

এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পল্লবী থানা পুলিশ ও মিরপুরের ডিবির নেতৃত্বে একটা টিম কাজ করছিল কয়েকদিন ধরে। এ অঞ্চলে মাঝে মাঝে ক্রাইম হয় নানা ধরনের। একটি গ্রুপ ক্রাইম করতে পারে বা ক্রাইম হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাত ২টার দিকে কালশী কবরস্থানের দিকে পুলিশের একটি টিম যায়। সেখানে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সমবেত হয়ে ক্রাইম করার পরিকল্পনা করছে- এমন খবরে পল্লবী থানা পুলিশ সেখানে অপারেশনে গিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ও মোশারফ।

তিনি বলেন, সেখানে আরও কয়েকজন ছিল যারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় যেটি ওয়েট মেশিনের মতো।
কৃঞ্চপদ রায় বলেন, ওজন মেশিনের মতো কোনো জিনিস কেন তাদের কাছে থাকবে... সেটা কী প্রশ্ন ওঠায় রাতেই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট থানায় চলে আসে। তারা ওই ডিভাইসটিকে স্টাডি করে। সেটা দেখার পর তারা আরও বিশদভাবে ডিভাইসগুলো খতিয়ে দেখতে আরও কিছু পর্যবেক্ষণ মেশিনসহ আসার জন্য ইউনিটের অন্য সহকর্মীদের খবর দেয়।

তারা যখন আরও পর্যবেক্ষণ মেশিন নিয়ে আসছিল তখন থানার ভেতর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটার পরে আমাদের চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ সদস্য আহত হন। তারা সবাই চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এক্সপার্ট টিম এসে পৌঁছানোর পর তারা পুরো এলাকা সিকিউরড করে। প্রাথমিক স্তরে থেকে তারা তারা ধারণা দেয় যে আরও কিছু বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত থাকতে পারে। এরপর আরও দুটি অবিস্ফোরিত এক্সপ্লোসিভ নিষ্ক্রিয় করে থানা ভবন নিরাপদ করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে কাজ করছি। আমরা তদন্ত করছি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম কাজ করছে। যেহেতু এখানে বোমসদৃশ জিনিস পাওয়া গেছে। সেটা আসলেই এক্সপ্লোসিভ। এসব কেন, কোত্থেকে এলো, কী উদ্দেশ্যে এলো সেটা নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। কেন কী কাজে এটি ব্যবহার হতে পারে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের পেছনে আর কারা সহযোগী ছিল তাদের খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি।

এটা কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্ট হামলার পরিকল্পনার অংশ কি-না জানতে চাইলে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যাদের আমরা গ্রেফতার করেছি তারা কোন জঙ্গি গ্রুপের সদস্য নয়। তারা কোনো না কোনো ক্রিমিনাল গ্রুপের সদস্য। ওজন মেশিনসদৃশ বস্তু যা ছিল সেটার ভেতরেই এই এক্সক্লুসিভগুলো ছিল।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এক্সপ্লোসিভগুলো দিয়ে কী করতে চেয়েছিল জানতে চাইলে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তারা একটি অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল। সেটা হতে পারে কাউকে খুন করার জন্য বা কোনো সম্পত্তি দখল সংক্রান্ত বা ডাকাতি করার জন্য। আমরা তদন্তের সন্তোষজনক পর্যায়ে এলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো। নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য বা পুলিশ থেকে রক্ষার জন্য তারা এক্সপ্লোসিভগুলো ব্যবহার করে থাকতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!