• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
রাজধানীতে আজ এরশাদের দুই জানাজা

দলীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধা, মঙ্গলবার নেয়া হবে রংপুরে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৫, ২০১৯, ১২:০৫ পিএম
দলীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধা, মঙ্গলবার নেয়া হবে রংপুরে

ঢাকা : সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দুটি জানাজা হবে সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানী ঢাকায়। নামাজে জানাজা দুটি হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।

এ ছাড়া তাকে কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এইচ এম এরশাদ। গতকালই বাদ জোহর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মৃত্যুর পর পরই দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের পক্ষ থেকে সিএমএইচে গণমাধ্যমের কাছে এরশাদের ব্যাপারে পরবর্তী কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। এ সময় সেখানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের মরদেহ রাখা হবে দলীয় নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এরশাদের আরও একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ ফের সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হবে।

রংপুর নেয়া হবে মঙ্গলবার : বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের মরদেহ রংপুর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ রংপুর নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ জোহর রংপুর জেলা স্কুলের মাঠে এরশাদের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নামাজে জানজার স্থান পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানান রাঙ্গা।

রংপুরে জানজার পর মঙ্গলবারই এরশাদের মরদেহ রাজধানীতে ফিরিয়ে এনে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি আরও জানান, পরদিন অর্থাৎ বুধবার রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।

বর্ণময় জীবন : ৮০’র দশকে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাধর এক স্বৈরশাসকের নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কয়েক দফা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। একের পর এক আগমন ঘটতে থাকে সেনা নিয়ন্ত্রিত শাসকের। তবে এদের কেউ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় না থাকলেও সবচেয়ে দীর্ঘকালীন সময় ক্ষমতায় টিকে ছিলেন স্বৈরতান্ত্রিক এরশাদ সরকার।  

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মজীবন জীবন শুরু হয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন না তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগে ও ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে ধস নামে।

ওই সময় দেশের রাজনীতিতে সংকট ও শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাজনীতিতে আসার সুযোগ পান এরশাদ। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের রাজনীতির সমান্তরালে জাতীয় পার্টি গঠনের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এরশাদ।

জাতীয় পার্টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে বলা হয়েছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। যদিও কোনও কোনও তথ্যমাধ্যম বলছে, এরশাদের জন্ম ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটায়। তবে এরশাদ নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন তার জন্ম কুড়িগ্রামে মামা বাড়িতে।

জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।

১৯৬০-৬২ সালে তিনি চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন। ১৯৬৮ সালে শিয়ালকোটে ৫৪তম ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-৭০ সালে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে এবং ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এরশাদ পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে দেশে আসেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল পদে তাকে নিয়োগ করা হয়।

১৯৭৩ সালে কর্নেল এবং ১৯৭৫ সালের ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনীর প্রধান করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এর প্রায় ১০ মাস পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে উৎখাত করে এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে দেশে সামরিক শাসন জারি এবং নিজেকে প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএফএম আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ওই বছর (১৯৮৩ সাল) ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কমপক্ষে পাঁচজন ছাত্র নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম বলি হন জয়নাল, কাঞ্চন, মোজাম্মেল, জাফর ও দীপালি সাহা। এরশাদের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সেই প্রথম রক্ত ঝরে ঢাকার রাজপথে। এরপরও অনেক তরুণের রক্ত ঝরেছে।

১৯৮৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর আবিষ্কৃত ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ তত্ত্ব অন্য দলগুলো গ্রহণ করায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জোরদার হয়। রাজপথে তখন সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল- এক দফা এক দাবি, এরশাদ তুই কবে যাবি।

সব ধরনের আন্দোলন দমন করে রাজনীতিবিদদের একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে কিংবা লেলিয়ে দিয়ে জেনারেল এরশাদ মহাসুখেই রাজত্ব করছিলেন। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নেয়ায় তার পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা আর সম্ভব ছিল না।

রাজনীতিবিদরা অনেকেই এরশাদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন, অনেকেই মন্ত্রিত্ব করেছেন, কেউ কেউ নিয়মিত মাসোহারা পেতেন বলেও সেসময় কানাঘুষা হতো।

ওই সময় ‘তিন জোটের রূপরেখা’ নিয়ে অনেক কথাবার্তা শোনা যায়। তিন জোটের মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫-দলীয় জোট, বিএনপির নেতৃত্বে সাতদলীয় জোট এবং বামপন্থীদের পাঁচদলীয় জোট। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও ‘যুগপৎ’ আন্দোলনে শামিল।

১৯৮৬ সালে একটা পাতানো সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হয় এবং আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের সেই নির্বাচনে ভিড়িয়ে এরশাদ ভেবেছিলেন, তিনি বুঝি টিকে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক মাত্র এক বছর টিকেছিল।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় ছন্দপতন হয়। কিন্তু ১৯৮৭ সালে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনা আন্দোলনে গতি এনে দেয়। ক্ষমতার শেষের দিকে আবারও সামরিক আইন জারি করে এরশাদ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু ডা. মিলন নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতির দ্রুত পাল্টে যায়।

১৯৯০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ছাত্র সংগঠনগুলোর ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে আন্দোলনে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এদিকে ক্যাম্পাস দখলের পরিকল্পনা নেয় এরশাদের লালিত বহিরাগত মাস্তানরা। তারাই পরিকল্পিতভাবে ডা. মিলনকে হত্যা করে।

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। এটা ছিল আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। মিলন যখন রিকশায় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ডা. মিলনের সঙ্গে একই রিকশায় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন পরবর্তীতে এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার রিকশাটা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় উপস্থিত হয়েছে তখন মিলন আরেকটি রিকশায় করে আমাকে ক্রস করে সামনে চলে যাচ্ছিল। তখন আমি মিলনকে বললাম তুমি ওই রিকশা ছেড়ে আমার রিকশায় আসো। এরপর মিলন আমার রিকশায় এসে ডানদিকে বসল।

রিকশাওয়ালা ঠিকমতো একটা প্যাডেলও দিতে পারে নাই, মনে হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে থেকে গুলি আসল। গুলিটা মিলনের বুকের পাশে লাগে। তখন মিলন বলল, জালাল ভাই কী হইছে দেখেন। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে আমার কোলে ঢলে পড়ে।

ডা. মিলনকে হত্যার পর জেনারেল এরশাদবিরোধী আন্দোলন আরও তুঙ্গে ওঠে। তখন জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শুরু করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে জেনারেল এরশাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও শুরু করে সেনাবাহিনী। একপর্যায়ে কমান্ডিং অফিসাররা সরকারের ‘অপকর্মের’ দায়িত্ব নিতে আর রাজি হলেন না।

৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ওই সময় আন্দোলনকারী দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিন মাস মেয়াদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এরশাদ। সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হয় তখনকার প্রধান বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমদকে।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। কারাগারে থেকেই ১৯৯১ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি রংপুরের পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তৎকালীন সরকার এরশাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে। একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন।

১৯৯৬ সালের ১২ জানুয়ারি সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদ আবারও পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। এই নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ছয় বছর জেলে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার কারণে সংসদে তার আসন বাতিল হয়ে যায়।

জোটগত রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ২০০০ সালে জাতীয় পার্টিতে ভাঙন ধরে। দলটি তিন ভাগ হয়ে যায়। তবে জাপার মূল অংশটি সব সময় এরশাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন পার্টির সভাপতি।

২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়।

২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয় লাভ করে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির  নির্বাচনে জাতীয় পার্টি  আসন পায় ৩৪টি। এবার এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন এরশাদ। বর্তমান সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!