• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দাবি না মানলে আন্দোলন


বিশেষ প্রতিবেদক নভেম্বর ৭, ২০১৮, ০২:৩০ পিএম
দাবি না মানলে আন্দোলন

ঢাকা : খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনসহ সাত দফা দাবি পূরণ না হলে আগামী ৮ নভেম্বর রাজশাহী অভিমুখে রোড মার্চের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সমঝোতার আগেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গণভবনে দ্বিতীয় দফা সংলাপের আগের দিন মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে মির্জা ফখরুলের এই ঘোষণা আসে। তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি আগামীকাল (আজ বুধবার) সংলাপে আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো মেনে না নেয়, তাহলে ৮ নভেম্বর রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করব রোড মার্চ করে। রাজশাহীতে ৯ নভেম্বর জনসভা হবে।’

রাজশাহীর পর খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহে ঐক্যফ্রন্ট জনসভা করবে জানালেও কোনো তারিখ বলেননি বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা করতে চায় তাহলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা হবে। এরপর আমরা আরও কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

মির্জা ফখরুললের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। আর জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব ছিলেন প্রধান বক্তা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উত্তর-দক্ষিণমুখী জনসভা মঞ্চের ব্যানারে লেখা ছিল অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৭ দফা দাবির কথা। জোটের শরিক বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া এবং নতুন যুক্ত হওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এ জনসভায়।

এদিকে, জনসভার প্রধান অতিথি ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মালিক জনগণ। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের অধিকার আমরা উদ্ধার করে ছাড়ব। তিনি বলেন, রাষ্ট্র কোন ব্যক্তির নয়। মানুষ রাষ্ট্রের মালিক। যতোই কষ্ট হোক না কেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থাকবো। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব। আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে হবে। সামনে নির্বাচন। নিজেদের ভোটাধিকারের পাহারা দিতে হবে। ভোটাধিকার পাহারা দেয়া মানে স্বাধীনতার পাহারা দেয়া।

বঙ্গবন্ধুর এই সহচর বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য যে, দেশের মালিকানা হল জনগণের। এদেশে কোন রাজতন্ত্র নেই, কোন রাজা নেই, কোন মহারানী নেই। সবাই এদেশের মালিক। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশ। কিন্তু আজকে আইনের শাসন অনুপস্থিত। বক্তব্যের শুরুতে ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, আজকে শুরুতেই বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। যে দেশে বিরোধী দলের নেত্রীকে শ্রদ্ধা জানানো হয় না, সে দেশে গণতন্ত্র থাকে না। আইন সবার জন্য এক। সরকারি, বিরোধী দল সবার জন্য আইন এক। কিন্তু তা দেখছি না। প্রতিদিন বিরোধীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ধরে নিয়ে যাচ্ছে।  স্বাধীন দেশে এটি চলতে পারে না। তাও নির্বাচিত সরকার হলে একটি কথা। অনিবার্চিত সরকার কোনভাবে তা করতে পারে না।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ২০১৪ সালে একটি নির্বাচন দিয়ে বলা হল, নিয়ম রক্ষার জন্য কোন রকম নির্বাচন দেয়া হয়েছে। দ্রুত সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন দেয়া হবে। কিন্তু এরপর ২০১৫ গেলো, ২০১৬ সাল গেলো, ২০১৭ সাল গেলো এবং ২০১৮ সালও যাচ্ছে। কিন্তু কথা রাখেনি সরকার। নির্বাচন হলো না। আর এসব করে তারা কিনা গণতন্ত্র, সংবিধানের কথা বলছেন!

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, আজকের সমাবেশে আসার জন্য সকল রাস্তা, পথ, গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে, সড়ক বন্ধ করে জনগণকে দমন করা যাবে না। ‘আজকে শপথ নিয়ে যাই, ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো আমরা’- বলেন ড. কামাল। সবশেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। কর্মসূচিতে রয়েছে, আজ বুধবার সংলাপ সফল না হলে ৮ তারিখ রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করবে ঐক্যফ্রন্ট। এছাড়া ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ। তফসিল না পেছালে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। এরপর বরিশালে লংমার্চ করবে ঐক্যফ্রন্ট।

মির্জা ফখরুল এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আমরা জনগণের মুক্তি চাই। গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। আমরা সংলাপ চাই। কিন্ত সংলাপের নামে নাটক চলবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আর গ্রেপ্তার হতে চাই না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে চাই। জনগণের সরকার কায়েম করতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। দিতে হবে, দিয়ে দাও। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয় শুধু সারা দেশের ঘরে ঘরে মুক্তি চাইতে হবে খালেদা জিয়ার। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিন, অন্যথায় খবর হবে। আপনাদের বিচার হবে জনতার মঞ্চে। সংলাপে আমাদের দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। জনসভা করতে করতে রাজশাহী যাব, বরিশাল যাব, কুমিল্লা যাব। ময়মনসিংহ যাব। দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা করলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করবো।

জেএসডির সভাপতি আরও বলেন, দাবি না মানলে দেশের ক্ষতি হবে, মানুষের ক্ষতি হবে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে প্রধানমন্ত্রী আপনার। ‘এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমাদের দাবি না মানলে আপনাদের উপায় নাই’।

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু বিএনপিতে যোগদান করি নাই। আমি ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছি। বিজয়ী হতে হলে নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি ভুলে যান। ঐক্যফ্রন্টের পতাকাতলে থাকতে হবে। জয় আপনাদের হাতে। যদি আপনারা মনে করেন বিজয়ী হবেন, তাহলে হবেন। তিনি বলেন, বিএনপি রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে একথা সত্য নয়। রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ।

কাদের সিদ্দিকী সবশেষে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আছি। ড. কামালের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, গণতন্ত্র মুক্ত করব।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে জীবন দিয়ে হলেও মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জীবন যাবে তবু বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।  বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। হাঁটতে পারেন না। চলতে পারেন না। সরকার বেগম খালোদা জিয়াকে জেলে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু তাকে মরতে দেব না। জীবন যাবে, তবু বেগম খালোদা জিয়াকে মুক্ত করবো। এসময় অবিলিম্বে ৭ দফা দাবি মেনে নিতে বলেন মান্না। তিনি বলেন, আগামীকাল সংলাপে যাবো আমরা। এবার মুখে কোনো কথা হবে না। সব কিছু লিখিত হতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আগামীকাল সংলাপে যাচ্ছি। আমাদেরকে ধোঁকা দেয়া যাবে না। ড. কামাল হোসেনদের ধোঁকা দেয়া যাবে না।  ‘যদি ৭ দফা না মানে তাহলে আপনারা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন’- জনগণের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানান ড. মোশাররফ।

বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাওয়া বিষয়ে ওবায়দুল কাদের এর সমালোচনা করে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নয়, নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এর বিকল্প নয়।

বিএনপির আরেকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্চর চন্দ্র রায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তার প্যারোলে মুক্তির প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়াকে অনুকম্পা করবে এমন কেউ দেশে নেই। সময় এসেছে আপনাদেরকে প্যারোলে কবরে যেতে হবে।

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ  চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়রের উন্নয়নে  জোয়ারে তাদের  চোখে ছানি পড়েছে, কানে শুনতে পারে না। উন্নয়ন ও দুর্নীতির কারণে তাদের উচ্চ রক্ত চাপ  বেড়ে  গেছে। এর  থেকে উত্তরনে সকলকে এক হতে হবে। আর চুপ করে বসে থাকা যাবে না।’

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘আমরা সংলাপে আছি। আমরা জনগনকে বলতে চাই, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, আঙ্গুল বাঁকা করতে হতে পারে। সবাই প্রস্তুতি নিন। এই  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, এই মাঠেই পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমপর্ন করেছিলো। এই মাঠেই আমাদের প্রত্যায়, ইনশাল্লাহ জনগনের মুক্তি সংগ্রামে দেশের জনগণ বিনা ভোটের সরকারের পতন ঘটাবে। আমরা বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।’

এছাড়া বিএনপির সমর্থিত ২০ দলীয় জোটের জামায়াত ছাড়া প্রায় সবগুলো দলের প্রতিনিধিই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। জনসভায় বক্তব্য রাখেন এসব জোটের অনেক নেতা এবং ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতৃবৃন্দ। মূলত ২০ দলসহ ঐক্যফ্রন্টের সকল নেতাই নিজ নিজ বক্তব্যে সবার আগে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

জনসভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, ২০ দলীয়  জোটের শরিক বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)  মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা নূর হোসাইন কাশেমী প্রমুখ। এছাড়া বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর একাংশের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী বক্তব্য দেন।
 
জনসভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, জয়নাল আবেদীন, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, অঙ্গ সংগঠনের কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লহ হাসান, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু ও রাজীব আহসান। জনসভা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম,  জেএসডির শফিকউদ্দিন আহমেদ স্বপন ও গণফোরামের  মোশতাক আহমেদ।

এর আগে বেলা ২টায়  পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক মাঠের মাধ্যমে এই জনসভা শুরু হয়। জনসভা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। দুপুরের আগেই মধ্যে মঞ্চের সামনে ও ডানে-বামে  নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে জনসভা লাখো জনসমুদ্রে রূপ  নেয়। হাজার হাজার মানুষের ঢল উদ্যান ছাড়িয়ে মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে গড়ায়। আশপাশের এলাকায় সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়। নেতা-কর্মীরদের অনেকের হাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সমাবেশে বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি  চেয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান  দেন।

অন্যদিকে জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীর মধ্যে সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আবদুল মান্নান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নাসির, মাহমুদুল হাসান, রুহুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডা. এজেএম জাহিদ  হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নুল আবদিন ফারুক, লুৎফুর রহমান খান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, মাহবুবউদ্দিন  খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আহসান হাবিব দুলু, নজরুল ইসলাম মনজু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!