• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাম না পাওয়ায় মরিচ চাষে হতাশ বগুড়ার কৃষক


নাহিদ আল মালেক, বগুড়া জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০১:২২ পিএম
দাম না পাওয়ায় মরিচ চাষে হতাশ বগুড়ার কৃষক

বগুড়া: জেলার কৃষিজ উৎপাদনের মধ্যে অন্যতম হলো মরিচ। বগুড়ার মরিচের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বগুড়ার মরিচ যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু এ বছর আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচও না ওঠায় হতাশ বগুড়ার স্থানীয় কৃষকেরা।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় এ বছর মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো  ৯ হাজার ৭শ মেট্রিক টন । সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ৭ হাজার ৬শ ৬৬ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলনও হয়। কিন্তু কৃষকেরা দাম না পাওয়ায় প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ২ থেকে ৩ শ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে।

বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দির যমুনার চর এলাকা ছাড়াও শেরপুর, শাহজাহানপুরে মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়।
শেরপুর উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের মরিচ চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, বিঘা প্রতি মরিচ আবাদে যে খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও বিক্রি করে পাইনি।

আরেক কৃষক আবুল কালাম জানান, মরিচের দাম না থাকায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। মরিচ বিক্রি করে খরচ না উঠায় অনেক কৃষকের মরিচ ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ বার বগুড়ায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে দাম কমে যাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের আশানুরুপ দাম পায়নি।

এবার লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা উৎপাদন খরচও না ওঠায় মরিচ চাষে আগ্রহ হারিয়েছে ফেলেছেন কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকেরা লোকসান এড়াতে মরিচের ন্যায্যমুল্য নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!