• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই স্বামী এক প্রেমিক, যারাই সোনুর হয়েছে- মারা পড়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০২০, ০৮:৪৪ এএম
দুই স্বামী এক প্রেমিক, যারাই সোনুর হয়েছে- মারা পড়েছে

ঢাকা: জোরপূর্বক যৌনকর্মী বানানো, মানব পাচার ও মাদক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সোনু পাঞ্জাবনকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লির আদালত।

সোনু পাঞ্জাবনের সাজা ঘোষণার সময় দিল্লি আদালতের বিচারক বলেছেন, নারী হিসেবে সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন সোনু পাঞ্জাবন। সোনু কঠোর শাস্তির যোগ্য।  ৩৯ বছর বয়সী সোনু পাঞ্জাবনের অন্য নাম গীতা আরোরা। পূর্ব দিল্লির এই নারী ভয়ঙ্কর অপরাধী হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে বলিউডে চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ দিল্লি তার ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র হলেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল সোনু ও তার দলবল। 

আগেও বেশ কয়কবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু নিজের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের জাল থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন সোনু। এই নারী অপরাধীর জীবনও বেশ নাটকীয়। দু'বার বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে তার দুই স্বামীই পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। 

তদন্তকারীরা বলছেন, সমাজবিরোধীদের প্রতি রীতিমতো আকৃষ্ট ছিলেন সোনু পাঞ্জাবন। সোনু পাঞ্জাবনের জন্ম পূর্ব দিল্লিতে। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা তিনি। সাইদুল্লাজাবের বাড়িতে প্রথম দেহব্যবসা শুরু করেন সোনু। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। 

মূলত দিল্লির উচ্চবত্তিরাই ছিলেন সোনুর খদ্দের। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তার। পুলিশ সে কারণে একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও হাজতে রাখতে পারেনি। প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন সোনু ও তার সঙ্গীরা। 

ব্যক্তিগত জীবনে সোনু দু-দুবার বিয়ে করলেও দুই স্বামীরই মৃত্যু হয় পুলিশের এনকাউন্টারে। দুই স্বামীও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন বলেই দাবি পুলিশের। সোনুর প্রথম স্বামী হেমানু সোনু। এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর এই গ্যাংস্টারের কাছ থেকেই সোনু নামটি গ্রহণ করেছিলেন গীতা অরোরা। 

পরবর্তী সময়ে আরেক গ্যাংস্টার শ্রী প্রকাশ শুক্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিজয় সিংয়ের প্রেমে পড়েন সোনু। ২০০৩ সালে সোনু ও বিজয় বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাদের। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বিজয়ের। 

পরবর্তী সময়ে দীপক নামে একটি ব্যক্তির সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান সোনু। কিন্তু সেই সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। আসামে গুলি করে হত্যা করা হয় দীপককে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, সমাজবিরোধীদের প্রতি বারবার আকৃষ্ট হন সোনু পাঞ্জাবন। 

রায় ঘোষণার সময় বিচারক কঠোর মন্তব্য করে সোনু পাঞ্জাবনকে বলেন, নারী হওয়ার সীমা অতিক্রম করেছেন এবং কঠোরতম শাস্তির দাবিদার। 
 
দেহব্যবসা চালানোর পাশাপাশি মানব পাচারের অভিযোগে দিল্লির আদালত সোনুকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ৬৪ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। 
 
গত ১৬ জুলাই দিল্লির আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল তাকে। তারপর তিহার জেলে বন্দি অবস্থায় মাথা যন্ত্রণার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সোনু। এরপর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!