• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, ডেপুটি স্পিকার হবে বিরোধী দলের


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০১:৩৫ পিএম
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, ডেপুটি স্পিকার হবে বিরোধী দলের

ঢাকা: আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে একটানা দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে এসেছে এ প্রতিশ্রুতি।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ইশতেহারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

রাষ্ট্র ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে ঐক্যফ্রন্ট শ্রতিশ্রতি দিয়েছেন-

>> নির্বাচনকালীন সরকাররে বিধান তৈরি করা, নির্বাচন কমিশনকে পুর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেয়া সহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে মুক্তভাবে মানুষের ভোটাদিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

>> সংসদে একটি উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা হবে।

>> সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হবে।

>> প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। একটানা পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না।

>> সংসদে ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দলীয় সংসদ্যদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবে।

>> সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক সভাপতির পদ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক বিরোধী দলের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে।

>> আইন এবং রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন এবং পর্যালোচনাই হবে সংসদ সদস্যের মূল কাজ।

>> সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে সকাল জাতীয় কমিশন গঠনে এবং ন্যায়পাল বিয়োগে বিরোধী দলের মতকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হবে।

>> সকল সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য সুস্পষ্ট আইন তৈরি করা হবে। ন্যায়পাল ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সব নিয়োগের জন্য বিরোধী দলীয় সাংসদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে।

>> সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

>> সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। তবে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীদের মনোনয়ন দেয়ার মাধ্যবাদকতা থাকবে।

>> বাংলাদেশে প্রাদেশিক সরকার প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা পরীক্ষার জন্য একটি সর্বদলীয় জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!