• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুর্গম পাহাড়ে ত্রাণ পেয়ে আবেগাপ্লুত বাসিন্দারা


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মার্চ ২৯, ২০২০, ১০:১৭ পিএম
দুর্গম পাহাড়ে ত্রাণ পেয়ে আবেগাপ্লুত বাসিন্দারা

রাঙ্গামাটি: দুর্গমতা নয়, কর্মহীন মানুষের হাতে সরকারের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়াটাই হচ্ছে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা। 

রোববার (২৯ মার্চ) রাঙ্গামাটির মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ের অবস্থিত কর্মহীন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলোর হাতে সরকারের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দুপুরে মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে কর্মহীন দুস্থ পরিবারগুলোর হাতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের জড়তা ছাড়াই রাস্তা থেকে প্রায় ২ থেকে ২৫০ ফুট নিচের পাহাড়ে খাদে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে যখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন এ সময় সকলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।

এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অর্পণ দেওয়ান, মগবান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা, সদর উপজেলা ত্রাণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা হিরো বড়ুয়াসহ মগবান ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের অন্য জেলা গুলোর মতো রাঙ্গামাটির জনপথ নয়। এ জনপথ হচ্ছে অনেক ভিন্ন একটি পাহাড় থেকে আরেকটি পাহাড় অনেক দুরে দুরে। তাই প্রতিটি কর্মহীন পরিবার যাতে এই ত্রাণ সহায়তা পায় তার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কষ্ট হলেও প্রতিটি বাড়ীর দুয়ারে গিয়ে আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টায় আছি।

এ সময় ত্রাণ পাওয়া পরিবারগুলো বলেন, আমরা আশা করতে পারিনি এতো কষ্ট করে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের বাড়ী বাড়ী খাদ্য শষ্য নিয়ে আসবে।  আসলে সরকারের এই উদ্যোগ আমরা অনেক খুশি।  অনেক দিন কাজে যেতে না পারায় চলতে কষ্ট হচ্ছিল।  এখন আমরা ছেলে মেয়েদেরকে ভালোভাবে দুবেলা খাবার দিতে পারবো।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা জানান, মগবান ইউনিয়নের ৮০০ পরিবারে মাঝে সরকারের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিটি পাহাড়ি পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।  তিনি বলেন, সরকারের এমন উদ্যোগ করোনা মোকাবেলায় অনেক বেশী কাজে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ডাল, তেল, আলু সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!