• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি প্রতিরোধে জাহাঙ্গীর হোসেন বাবরের ৮ প্রস্তাবনা


জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০৫:০৬ পিএম
দুর্নীতি প্রতিরোধে জাহাঙ্গীর হোসেন বাবরের ৮ প্রস্তাবনা

ফাইল ছবি

ঢাকা : আমার ব্যক্তিগত কিছু মতামত (ফ্যাক্ট বাংলাদেশের দুর্নীতি): আমাদের বাংলাদেশ প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। ইসলাম ধর্মে সুদ এবং ঘুষ খাওয়াকে অপরাধীর মায়ের সাথে জেনা করার সমতুল্য অপরাধ হিসাবে ধর্মে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। তারপরও আমাদের সমাজে এর প্রচলন বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্ব থেকেই চলে আসছে। আমরা সবাই ঢালাওভাবে যে যখন ক্ষমতায় থাকে ওই সরকারের উপর দোষ চাপাই। অবশ্যই এর ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলের উপর বর্তায় যারা দেশ পরিচালনা যখন করেন। 

বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক জান্তা মইন ইউ আহমেদ এর আগে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এত ঢালাওভাবে কেউ করেননি কোন রাজনৈতিক দল। আমি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্সের মাধ্যমে এই প্রথম ক্যাসিনো কান্ড ধরার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির ড্রাইভার পর্যন্ত আইনের আওতায় আনার জন্য। উনার ব্যাপারে জনগণ শতভাগ শ্রদ্ধাশীল। 

তারপরও কথা থাকে তিনি শুরু করেছেন... শেষ করতে হবে আপামর জনসাধারনের দুর্নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

আর এ মুহূর্তে দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা যে কাজগুলো করতে পারি। তা হলো-

১. দেশের আলেম সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, দুর্নীতিবাজকে মসজিদ থেকে বর্জন করতে হবে, দুর্নীতিবাজের কোন দান ধর্মীয় কাজে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. প্রত্যেক থানায় RAB এর তত্ত্বাবধানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক গোপন অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে সরকারকে, কেউ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে কাউরে হয়রানিমূলক অভিযোগ করলে তাকেও সাজার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৩. প্রাইমারি স্কুল লেভেল থেকে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করার জন্য রচনা এবং প্রবন্ধ বাধ্যতামূলক পড়াতে হবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে, যার শিক্ষা নিয়ে শিশুরা নিজে সৎ জীবন গঠন করবে এবং তাদের মাতা-পিতাকে সৎ হতে বাধ্য করবে।

৪. উন্নত বিশ্বের মতো আইন করতে হবে কোন ব্যক্তি জীবনে একবার দুর্নীতি মামলায় প্রমাণিত হলে তার ৩ জেনারেশন সরকারি কোনো চাকুরি এবং সুবিধা পাবে না।

৫. মহামান্য উকিল ব্যারিস্টাররা শপথ করতে হবে নিশ্চিত দুর্নীতিবাজ বুঝতে পারলে ওই লোককে আইনি সহযোগিতা টাকার বিনিময়ে দেয়া যাবে না।

৬. সরকারি যেকোনো চাকরি নেবার আগে ধর্মীয় গ্রন্থের উপর হাত রেখে দুর্নীতি না করার শপথ নিয়ে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার গ্রহণ করতে হবে।

৭. জনপ্রতিনিধি মেম্বার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কমিশনার, মেয়র, জেলা পরিষদ কাউন্সিলর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,সংসদ সদস্য, এবং মন্ত্রী মহোদয় এর ক্ষেত্রেও যার যার ধর্মীয় গ্রন্থ হাতে রেখে নির্বাচনের পর শপথ করতে হবে দুর্নীতি করব না ক্ষমতা থাকা অবস্থায়।

৮. সর্বোপরি দুর্নীতির সাজা সর্বনিম্ন ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এর বিধান রেখে নতুন আইন পাশ করতে হবে, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তিন মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

আমার বিশ্বাস এরপর আমরা সামাজিকভাবে সচেতন হলে ৯৯ ভাগ দুর্নীতি এই দেশ থেকে বিদায় নিতে বাধ্য।

লেখক: বৃহত্তর নোয়াখালীর তরুণ প্রজন্মের প্রিয় মুখ ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সৎ ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, লেখক ও উদীয়মান রাজনীতিবিদ। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!