• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে প্রথম তৈরি হচ্ছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২২, ২০১৮, ০৮:৫৬ পিএম
দেশে প্রথম তৈরি হচ্ছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

ঢাকা : ‘পরিচ্ছন্ন কেরানীগঞ্জ গড়ি, সুস্থ জীবন যাপন করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জকে একটি সুন্দর নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনের সাংসদ এবং বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। পরিবেশ ও জীববৈচিত্য রক্ষার মাধ্যমেই কেরানীগঞ্জকে একটি মডেল সিটি হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন বিপু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে বিশ্বদরবারে গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, তেমনি কেরানীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে ঢাকার এই জনপদ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশের মধ্যে একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, আইনশৃঙ্খলা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দক্ষ নেতৃত্বে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, “দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্রকল্পটি হতে যাচ্ছে কেরানীগঞ্জে। এ কেন্দ্রটির নকশা প্রণয়ন করে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনই শুধু নয়, ‘পরিচ্ছন্ন কেরানীগঞ্জ গড়ি, সুস্থ জীবন যাপন করি’ স্লোগানভিত্তিক কর্মসূচির আওতায় ময়লা সরানোর নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে কেরানীগঞ্জে।

এসবের মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়েছে, ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, ময়লা সংগ্রহের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ভ্যানগাড়ি ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বড় গাড়ি দেওয়া হয়েছে, রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বাজার এবং সব অফিস-আদালতের নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া করার কাজ এগিয়ে চলছে, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এমন বিদ্যুৎ প্লান্টের নকশা ও টেন্ডারের কাজ শেষ করা হয়েছে, আবাসিক এলাকা, রাস্তার পাশ, শিল্প কারখানা, প্লান্ট, নির্মাণ সাইট এবং দোকানের পাশের ময়লা ডাম্পিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ একটি শিল্প এলাকা এবং এখানে রয়েছে ছোট-বড় অনেক কলকারখানা। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভবিষ্যতে কী কী করা হবে তারও একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্টেশন কর্মপরিকল্পনার কাজ করা হচ্ছে, ড্রেনেজ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমন্বিত করে মাস্টারপ্লান করা হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে পরিচ্ছন্ন কেরানীগঞ্জ গড়তে উৎসাহিত করা হবে।

মশাবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্লান্ট চালু করে পুনঃব্যবহারযোগ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানকে মাটির নিচে স্থাপন করা হবে। ভ্রাম্যমাণ ময়লা সংগ্রহের বাহনগুলোতে ঢাকনার ব্যবস্থা করা হবে, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ জনসমাগমস্থল এবং নান্দনিক প্রতিটি জায়গাতে ছোট ছোট ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!