• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বৈশ্বিক মহামারী

দেশে বাড়ছে করোনা পরীক্ষার দাবি, কবর দিতেও বাধা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৩১, ২০২০, ০১:০০ এএম
দেশে বাড়ছে করোনা পরীক্ষার দাবি, কবর দিতেও বাধা

ঢাকা : চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাধারণ সর্দি কাশিসহ যে কোনো অসুস্থতার কারণে কারও মৃত্যু হলেই স্থানীয়ভাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার দাবি তুলে কবর দিতে পর্যত বাধা দেয়া হচ্ছে যা বড় রকমের চাপে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের।

গত ২৪ ঘন্টায় সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে দেশের তিনটি জেলায় তিন জনের মৃত্যুর পর তাদের করোনা ভাইসের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। এরআগে শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং শর্দি কাশিতে ১২জনের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ এবং করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাসহ এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের আস্থার অভাবের কারণে যেকোনো রোগেই পরীক্ষার দাবি আসছে।

কুষ্টিয়া, শেরপুর এবং দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা—এই তিনটি জায়গায় গত ২৪ ঘন্টায় জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে যে তিনজনের মৃত্যু হয়, এই জেলাগুলোর সিভিল সার্জনরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঘটনাগুলোর পর তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে তাদের আত্নীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন সন্দেহ করেন। ফলে মৃত্যুর পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মৃতদেহের মতো বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলছিলেন, তাদের জেলায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১০টি পরিবারকেও লকডাউনের মধ্যে রাখা হয়েছে।

গত রোববার (২৯ মার্চ) দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর বা সর্দিকাশি নিয়ে যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পরীক্ষার জন্য।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলছিলেন, এখন যে কোনো অসুস্থতা এবং তাতে কারও মৃত্যু হলেই করোনা ভারাসের পরীক্ষা করানোর জন্য তাদের কার্যক্রমের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, "এখন যেখানেই মানুষ মারা যাচ্ছে। কেউ একজন যদি বলে দেয় যে তার হাঁচি কাশি, সর্দি ছিল, তখনই সবাই মনে করছে, এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত রোববার (২৯ মার্চ) ফেনীতে ১১৩ বছর বয়সের একজন মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। তারপরও তাকে কবর দিতে এলাকাবাসীতে বোঝাতে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।"

এ এস এম আলমগীর বলেন, "যেমন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় গত শনিবার (২৮ মার্চ) একজন মারা গেছেন। এরপর আমাদের কাছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে, আমরা বাড়িটা লকডাউন করে রেখেছি। আপনারা নমুনা না নিলে কবর দিতে দিবনা। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা গেলো, পরীক্ষা নেগেটিভ এলো মানে ঐ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।" সূত্র : বিবিসি বাংলা

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!