• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের আদালত একটা অনুষ্ঠানিকতা মাত্র


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম
দেশের আদালত একটা অনুষ্ঠানিকতা মাত্র

ঢাকা : দেশের আদালত একটা অনুষ্ঠানিকতা মাত্র তাই খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য আদালতের ওপর নির্ভর করা খালেদা জিয়ার জন্য অসম্মানজনক আজ প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, যে আদালত নিজে চলতে পারেনা যে আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এখন কদম হাঁটতে পারে না , সেই আদালতের উপর নির্ভরশীলতা আর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা একই কথা তাই আমাদের এখন দানব বন্ধন করতে হবে যে দানবের হাতে বন্দি আছেন বেগম খালেদা জিয়া ।

তিনি আরো বলেন, আমরা যদি মনে করি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকার একমাত্র বাধা তবে সরকার পতনের আন্দোলনে আগে করবো তারপরে খালেদা জিয়া স্বাভাবিক ভাবে মুক্তি পাবে।

স্বাধীনতার পর কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি : স্বাধীনতার পর কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।

ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জীর বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আসামের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন, ভারতে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের তারা আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, স্বাধীনতার পরে কোন বাংলাদেশি কখনো ভারতে যায়নি। সুতরাং আজকে বাংলাদেশকে আবার বিপদগ্রস্ত ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারায় সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নেই, সাহস নেই। এদিকে আসাম (ভারতের আসাম) থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, সেখান থেকে নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই- কোনো বাংলাদেশি স্বাধীনতার পরে কখনও ভারতে যায়নি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, গায়ের ব্যথা বেড়ে গেছে, তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে-চলতে পারেন না। হুইলচেয়ারে চলছেন। কিন্তু এই সরকার, তার কর্মকর্তারা এবং ডাক্তাররা বলছেন, তিনি নাকি সুস্থ আছেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি দিন পার করছেন। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য আশু মুক্তি দাবি করছি।

আন্দোলনে নামার ডাক দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ভোটের আগের রাতে ডাকাতি করে জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা অন্যায়ভাবে দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছে। কারণ একটিই- তিনি বাইরে থাকলে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করবেন। এই অবৈধ সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ঐক্য সমুন্নত রাখতে হবে এবং সামনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে এই জালেম সরকারকে পরাজিত করতে হবে।

মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!