• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘দেশের ১২৫টি উপজেলার নদীতে মিলছে ইলিশ’


চাঁদপুর প্রতিনিধি মার্চ ২৪, ২০১৯, ০১:৫৫ পিএম
‘দেশের ১২৫টি উপজেলার নদীতে মিলছে ইলিশ’

চাঁদপুর : প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে এখন এক-চতুর্থাংশ উপজেলার নদীতে তা পাওয়া যাচ্ছে।  

জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার (২৩ মার্চ) আয়োজিত এক কর্মশালায় এতথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচকদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদীতেই ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে।’

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

দীপু মনি বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। সরকার সারাদেশে ইলিশসহ মৎস্য খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। ইলিশ বিষয়ে নিবিড় গবেষণা রাখার জন্য ২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতায় ইলিশ জোরদারকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং তা চলমান রয়েছে। এ বৃদ্ধির ধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে তিনি জেলে সম্প্রদায়কে আরও আন্তরিক হওয়ার এবং জাটকা নিধন না করার আহ্বান জানান।

কর্মশালায় বক্তারা জাটকা ইলিশের যথাযথ বৃদ্ধি ও মা-ইলিশের প্রজননের স্বার্থে দেশের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বেষ্টিত ৬টি অভয়াশ্রম রক্ষার প্রয়োজনের উপর জোর দেন। তারা বলেন, এসব প্রধান প্রজনন কেন্দ্রের ৫টিতে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস এবং আন্ধারমানিকের অভয়াশ্রমে নভেম্ব্র থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ মাছ জাটকাসহ সব প্রকার মাছ ধরা বন্ধ করার ফলে ইলিশের গড় আকার ও ওজনসহ প্রাকৃতিক প্রজনন হার বাড়ছে।

প্রতিমন্ত্রী খসরু জাটকা ইলিশের পাশাপাশি মা-ইলিশের যথাযথ সংরক্ষণে প্রশাসনসহ জেলেদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়ে বলেন, জাটকা ধরা বন্ধের ৮ মাস এবং মা-ইলিশ ধরাবন্ধের ২২দিন জেলেদের খাদ্য সহায়তাসহ বিকল্প করমসংস্থানের ব্যবস্থার পরও ইলিশের ক্ষতির জন্য যারা অবৈধ জাল উৎপাদন করে জেলেদের বিপথে চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে দুটি প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক অফিসার ড আশরাফুল আলম ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচঅরক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।

 সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!