• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার নতুন ২টি লক্ষণ


লাইফস্টাইল ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০২০, ০৪:০৫ পিএম
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার নতুন ২টি লক্ষণ

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: চীন থেকে ছড়ানো মহামারি বর্তমানে বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হচ্ছে। এখন চলছে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ। যদিও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হবেই তার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। সবাই আশঙ্কা করছেন, শীতকালে করোনার সংক্রমণ বাড়বে। এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুতির পাশাপাশি জনসাধারণকেও এই সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বে করোনার নতুন নতুন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। 

করোনা আক্রান্ত রোগীদের অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা করে গবেষকরা এ সব নতুন লক্ষণ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। জ্বর-সর্দি-মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এসব কমন লক্ষণ ছাড়াও নতুন একটি লক্ষণের দেখা মিলেছে।  আপনি করোনায় সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা বোঝার আরো নির্ভরযোগ্য লক্ষণ হলো আপনার স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে কাশি বা জ্বরের চাইতে স্বাদ-গন্ধহীনতা আরো স্পষ্ট লক্ষণ। 

চলিত বছরের শুরুর দিকে স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছিলেন না এরকম প্রায় ৬০০ রোগীর ওপর এক গবেষণা চালিয়েছে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ, এবং এদের ৮০ শতাংশ এর শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। যাদের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের শরীলে জ্বর বা অনবরত কাশির মত করোনার অন্য কোন উপসর্গ ছিল না।

এই গবেষণা চালানো হয়েছে যাদের হালকা উপসর্গ ছিল তাদের ওপর। করোনাভাইরাসের একটা লক্ষণ যে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া, সেই তথ্যপ্রমাণ প্রথম সামনে আসতে শুরু করে এপ্রিল মাস নাগাদ। মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ করোনার উপসর্গের তালিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এটা নিশ্চিত একটা লক্ষণ হিসাবে যুক্ত হয়।

করোনাভাইরাসের বর্তমান নির্দেশিকাতে বলা আছে, কারো যদি স্বাদ-গন্ধ চলে যায় বা কেউ যদি স্বাদ-গন্ধ আগে যেভাবে পেতেন তাতে কোন পরিবর্তন লক্ষ করেন, তাদের সেল্ফ-আইসোলেট করতে হবে অর্থাৎ তাদের সকলের থেকে আলাদা থাকতে হবে এবং করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু লন্ডনের এই গবেষণার ফলাফলের প্রধান লেখক অধ্যাপক রেচেল ব্যাটারহাম বলছেন এখনও মানুষ কাশি ও জ্বরকেই করোনার প্রধান উপসর্গ হিসাবে দেখছেন।

তিনি  ২৩ এপ্রিল থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন এলাকার পারিবারিক চিকিৎসকদের (জিপি) সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের মাধ্যমে সেইসব লোকেদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন যারা আগের চার সপ্তাহে স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়ার কারণে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছিলেন। এদের ওপরই তারা গবেষণার কাজটি চালান। এই অংশগ্রহণকারীদের সবার শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় এদের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চারজনেরই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পজিটিভ হয়, যা প্রমাণ করে তারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছিল।

তবে এই গবেষণার পরিসর ছিল সীমিত। অর্থাৎ যাদের হালকা উপসর্গ ছিল, যার মধ্যে ছিল স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া শুধু তাদের নিয়েই এই গবেষণা চালানো হয়েছে। ফলে, সব করোনা রোগীদের এই গবেষণা বা জরিপের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!