সাতক্ষীরা: দুটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার আটারই গ্রামের মোকাম মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম (৩৪) প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধীকে (২৫) ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণের মামলা করেন প্রতিবন্ধীর পরিবার।
সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নুর ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অপর একটি ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের কাজী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান প্রতিবেশী কাজের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে হাফিজুর রহমান তাকে বিয়ে না করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মেয়েটি বাদী হয়ে হাফিজুর রহমানের নামে ধর্ষণ মামলা করেন।
পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিকে, অপর একটি অপহরণ মামলায় গোলাম রসূল নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, দুটি ধর্ষণ ও একটি অপহরণ মামলার রায় দেন আদালত। তিন মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
সোনালীনিউজ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :