‘ধর্ষণ নাটক’ সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি! অতঃপর ...

ঝিনাইদহ : নিকটাত্মীয়কে ফাঁসাতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে দিয়ে ধর্ষণ অপবাদ দিয়ে অবশেষে নিজেরাই ফেঁসে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষণজনিত কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় যাদবপুর গ্রামের ফিরোজের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। সাংবাদিকদের সে সময় তিনি জানান, তাকে একই গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের ছেলে সবুজ ধর্ষণ করেছে।

গণমাধ্যমকর্মী তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। কিন্তু মঙ্গলবার ঘটনা তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে এই মিথ্যা ও সাজানো ধর্ষণ কাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যদিবপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বদিয়ার নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি জটিল করতেই ওই মহিলাকে দিয়ে ধর্ষণ নাটক সাজায়।

মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, স্থানীয় একটি কলেজের একাউনটেন্ট সবুজের সঙ্গে ওই মহিলার পরিবারের লেনদেন ছিল। তাছাড়া সবুজ তাদের আত্মীয়ও বটে। লেনদেন বিষয় নিয়ে মর্জিনার বাড়িতেই সোমবার মারপিট করা হয় সবুজকে। এই মারপিট ঘটনা আড়াল করতে গিয়ে মর্জিনাকে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয় ধর্ষণ কাণ্ডের। ওসির ভাষ্যমতে মর্জিনা ও তার স্বজনরা সোমবার থানায় আসে। তারপর একটি কুচক্রি মহল রাতেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে মর্জিনাকে। ধর্ষণ ঘটনাটি মিথ্যা হওয়ায় মঙ্গলবার দুই পরিবারকে নিয়ে আপস রফার ভিত্তিতে মর্জিনাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে যারা নিজের মান সম্মান বোধ বিসর্জন দিতে পারে তারা কতই না নিষ্ঠুর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর