• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষিত হয়ে জীবন হারানোর চেয়ে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়া শ্রেয়


ফারহানা রহমান মিতু অক্টোবর ১২, ২০২০, ০৩:১৩ পিএম
ধর্ষিত হয়ে জীবন হারানোর চেয়ে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়া শ্রেয়

তথ্য সেবা কর্মকর্তা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা

দেশ রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা। আপনার কাছে আমাদের চাওয়া সবসময় একটু বেশি ই থাকে। তাই এক বুক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও অনেক আশা নিয়ে আপনার কাছে লিখছি। জানি না এ লেখা আপনার কাছে আদৌ পৌঁছবে কিনা! 

বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হলেও মনে আজ আমাদের (নারীদের) প্রচন্ড ভয় কাজ করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি নারী নির্যাতনের ঘটনা শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠেছি আমরা । জানি না এর শেষ কোথায়।

আমি নারী, আমার বোন নারী ,আমার মা নারী

তারা কি আজ সত্যি সুরক্ষিত ? হে দেশ রত্ন ।

দৈনিক খবরের কাগজ আর টেলিভিশন খুললেই ধর্ষনের খবর ছাড়া আর কিছুই চোঁখে পড়ে না। এগুলো শুনতে শুনতে আমরা দিনকে দিন নারীরা আতংক গ্রস্থ হয়ে মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছি। আপনি আমাদের মা। মা হয়ে দেশের জন্য, আমাদের জন্য অনেক কিছুই করে দিয়েছেন। নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য এখনো লড়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। আপনার সাহসীকতা ও বিচক্ষণতা থেকে আমরা নারীরা অনুপ্রাণিত হই। কিন্তু বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষের ভীড়ে মানুষ রূপি কিছু হায়েনারা ওঁৎ পেতে থাকে । যাদের ভয়ে নারীরা আজ ঠিক মতো ঘর থেকে বাহির হয়ে নিরাপদে আবার বাড়ি ফিরতে পারবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে।

তাহলে কি হবে এতো উন্নয়ন দিয়ে মা? কাদের জন্য এতো পরিশ্রম করছেন আপনি? যদি মানুষ রূপি হায়েনারাদের ভয়ে আমাদেরকেই ঘরে মুখ লুকিয়ে রাখতে হয়। এদের কি বিচারের আওতায় এনে মৃত্যু নিশ্চিত করা যায় নাহ ? ধর্ষকদের গ্রেফতার না করে সরাসরি ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করা এখন নারীদের প্রাণের দাবী। আর না হলে আপনার সকল নারী বান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প বৃথা হয়ে যাবে। কি হবে এতো এতো উন্নয়ন দিয়ে মা। আমার মতে তো ধর্ষিত হয়ে জীবন হারানোর চেয়ে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়া শ্রেয় হে প্রিয় জননী। আপনি বলে দেন আমরা কি করবো।

আমি আপনার প্রিয় তথ্য আপা প্রকল্পের তথ্য সেবা কর্মকর্তা। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কর্মরত আছি। মহিলাদের ডিজিটালায়নের জন্য তথ্য সেবা মুলক কাজের জন্য আমাকে ছুটতে হয় এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে। আজ প্রশ্ন জাগে আমার নিরাপত্তা কি আছে মা।

আমাদের কাজ নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সুবিধা অসুবিধা দেখা।

তথ্য সেবা প্রকল্পে সেবা নিতে আসা নারীরা যদি আমাদের প্রশ্ন করে তাঁরা কি সুরক্ষিত? ধর্ষক নামক মানুষ রূপি হায়েনার হাত থেকে তাদেরকে কে বাঁচাবে?

আমরা কি উত্তর দিবো মা ? আপনি বলে দেন।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, সংসদের স্পিকার নারী সেই দেশে ধর্ষকদের কেন ক্রসফায়ার দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে মানুষরূপী হায়েনাদের যে বাঁচার কোনো অধিকার নেই মা। আর দেশ থেকে ধর্ষক নামক দু’চারশ কুকুরের বাচ্চা ক্রসফায়ার দিলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না মা।

ফারহানা রহমান মিতু
তথ্য সেবা কর্মকর্তা
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!