• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধৈর্যশীল বাবার ‘শান্ত’ ছেলে সাদমান


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৮, ০৮:৩৪ পিএম
ধৈর্যশীল বাবার ‘শান্ত’ ছেলে সাদমান

ঢাকা : পেশাগত সূত্রে ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন বা্বা। বাবা চাননি তাঁর ছেলে বড় ব্যাটসম্যান হোক, চেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটসম্যান বানাতে। রঙিন ক্রিকেটে অর্থের ঝনঝনানি যে অনেক বেশি সেটা কে না জানে! কিন্তু বাবা কখনোই চাননি ছেলে ক্রিকেটের অর্থের পেছনে দৌড়াক। প্রয়োজনে শুধু টেস্ট ক্রিকেটই খেলবে। বলা হচ্ছিল, সাদমান ইসলামের বাবা শহিদুলের কথা।

সাদমানের বাবা সংবাদমাধ্যমকে প্রথম দিন শেষে বলেছেন,‘ওর ধৈর্য, শান্ত থাকাটা আমার কাছ থেকেই পাওয়া। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের সংগ্রামই করতে হয়েছে বেশির ভাগ সময়ে। এ কারণে সব সময় ওকে একটা জিনিসই শিখিয়েছি, নিজের উইকেটের মূল্যটা বুঝবা। নিজের উইকেট সহজেই হারানো যাবে না। অনেক সময় অনেকে খুশি হতে পারে না ওর ব্যাটিংয়ের ধরনে। ওর খারাপ লাগে। তবুও বলি, তুমি এভাবেই খেলবে। দরকার হলে শুধু টেস্টই খেলবা। টেস্টের মর্যাদা অনেক। আমি ওকে ধৈর্য ধরাটাই শিখিয়েছি।’

অভিষেক টেস্টে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সাদমান। তার চেয়েও বড় এই রান করতে তিনি ১৯৯ বল খেলেছেন। সাদমানের ইনিংসজুড়ে ছিল টেস্টের মেজাজ। বাউন্ডারি মেরেছেন ছয়টি। টিম ম্যানেজম্যান্ট যে ভবিষ্যতের ভাবনা থেকে তাঁকে দলে সুযোগ করে দিয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাদমানও বলে গেলেন বাবার কথা, ‘বাবার ভূমিকা অবশ্যই আছে। আব্বু সব সময় ক্রিকেটে সহযোগিতা করেছে। আমি সব সময় ক্যাম্পে যেতাম। অনূর্ধ্ব ১৫-১৭ ক্যাম্পে সব সময় আমাকে নিয়ে যেতেন। তখন আমি ছোট ছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হব। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলেছেন, সেভাবে খেলেছি। আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সমর্থন করেছেন খেলার জন্য। কীভাবে খেলতে হয়, কীভাবে ক্রিকেটারদের জীবন থিতু করতে হয়, সেগুলো এখনো আমাকে বলেন। নিজেকে ওভাবেই গড়ে তোলার চেষ্টা করি।’

অনেক সময় নিয়ে ধীর-স্থীর হয়ে খেলেন সাদমান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর মধ্যে তিন হাজারের বেশি রান করেছেন। যেখানে স্ট্রাইকরেটের (৪৫.৯০) চেয়ে গড় (৪৫.৮০) বেশি। সাদমান বলছেন, ‘আমি সময় নিয়ে খেলতে পছন্দ করি। ধৈর্য ধরে, শান্ত থেকে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। আজও আমার পরিকল্পনা ছিল সেটাই। পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজেও লাগাচ্ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য,ইনিংসটা আরও লম্বা করতে পারিনি। খারাপ লাগা বলতে এটাই।’

ফিফটি ছাড়িয়ে ৭০ পেরোনোর পর অনেকেই ভেবেছিলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাবেন সাদমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। তবে এ নিয়ে সাদমানের আক্ষেপ নেই,‘এমন কোনো হতাশা (সেঞ্চুরি না পাওয়ার) নেই। একটু তো সবারই থাকে...ডেব্যু ম্যাচে সেঞ্চুরির চাওয়া তো সবারই থাকে। তবে ও রকম কোনো হতাশা নেই। চেষ্টা করেছি দলের জন্য। যতটুকু দেওয়ার দরকার ছিল, সেরকম ব্যাটিং করেছি। হয়তো পুরোটা করতে পারিনি। যে রকম দরকার ছিল সেভাবে শেষ করতে পারিনি। আমার মনে হয় আরেকটু দিতে পারতাম দলকে।'

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!