• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নকল স্ত্রীর সঙ্গে ৮ মাস ঘরসংসার, অতঃপর


পাবনা প্রতিনিধি জুন ২৬, ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম
নকল স্ত্রীর সঙ্গে ৮ মাস ঘরসংসার, অতঃপর

ফাইল ছবি

পাবনা: নকল স্ত্রী সাজিয়ে এক নারীকে ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে পাবনার রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের এক কর্মচারী সুলতান মাহমুদ সুজন। বিষয়টি সুজনের প্রথম স্ত্রী জানার পর এখন ওই মহিলার সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন।

এদিকে তার ২য় স্ত্রী দাবি করা নারী কাবিননামা দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় ওই নারী সোমবার রাতে ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সুজন পাবনা ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের হারোপাড়া মহল্লার চৌধুরী পাড়ার আব্দুর রশিদ বাবলুর ছেলে ও পাবনার রুপপুর পারমাণবিক প্লান্টের কর্মচারী। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তিনি চাকরিস্থল ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছেন।

প্রতারণার শিকার ওই নারী জানান, তার ১ম স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় পরে তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের হারোপাড়া মহল্লার বিশ্বাসপাড়ায় বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।

একবছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে সুজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে কর্মরত সুজন তাকে ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।

এরপর থেকে তারা দু’জন ঈশ্বরদীতে এক সাথে বসবাস করতে শুরু করেন। সুজন ১ম স্ত্রীর কথা গোপন করে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় রেজিস্ট্রিও করা হয়েছে বলে ওই নারী জানান।

তবে কাবিননামাটি নকল বলে তিনি পরে জানতে পারেন। এটা সাইফুলের আরেকটি প্রতারণা বলে তিনি অভিযোগ করেন।

২য় বিয়ের বিষয়টি জানার পর ভাঙ্গুড়ায় বসবাসরত ১ম স্ত্রী সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নেয়। এতে সুজন বেকায়দায় পড়ে তার (কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী) সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

এদিকে ২য় স্ত্রী তার অধিকার দাবি করলে সেটি সাজানো বিয়ে ছিল বলে জানিয়ে দেন সুজন। বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে বিয়ে পড়ানো নিকাহ রেজিস্ট্রার কে ওই নারী আর খুঁজে পাননি। এতে নিশ্চিত হন তাদের বিয়ের কাবিননামা ভুয়া ছিল।

নিরুপায় হয়ে ওই মহিলা সোমবার রাতে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক রাজু আহমেদ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সুজন মুঠোফোনে বলেন, আমি কোনো ২য় বিয়ে করি নাই। এসব মিথ্যা কথা। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ওই নারী এই অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানান, বিয়ের নামে প্রতারণা করে আটমাস ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করেছে তার মহল্লার বাসিন্দা সুজন। ন্যায় বিচার পেতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গুড়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে সুজনের বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে না পেয়ে তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!