• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নজিরবিহীন তান্ডবে জ্বলছে গোটা ফ্রান্স


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ১০, ২০১৮, ০৯:২৯ পিএম
নজিরবিহীন তান্ডবে জ্বলছে গোটা ফ্রান্স

ঢাকা : জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পরেও ফুঁসছে ফ্রান্স। গতকাল রবিবার ফের নতুন উদ্যমে মাথাচাড়া দেওয়া বিক্ষোভে তার প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছে দেশটির সরকার। ১৭০০ জনকে আটক করার পরেও বাঁধ মানেনি জনতা। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেটকে উপেক্ষা করে দিনভর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে, দোকানপাট ভেঙে-গুঁড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে হলুদ জ্যাকেট পরা বিক্ষোভকারীদের দল।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় জানিয়েছে, রবিবার ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন ছিল ৯০ হাজার পুলিশ। শুধু প্যারিসেই ৮ হাজার পুলিশ ছিল। রাস্তায় টহল দেয় ১২টি সাঁজোয়া গাড়ি। তারপরও প্যারিসে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেয় গাড়িতে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গতকাল প্যারিসের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পহেলা ডিসেম্বরের তুলনায় বেশি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রতিবাদীদের দিকে রবার বুলেট ছুঁড়ছে পুলিশ। আহত হন কয়েক জন সংবাদকর্মীও। আহত হয়েছেন ১৭ জন পুলিশ অফিসার। ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে, টানা চার সপ্তাহের বিক্ষোভে বিধ্বস্ত ফ্রান্সে ‘জাতীয় ঐক্য’ ফেরানোর ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ। এদিন প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ বলেন, ‘কোন ভাবেই আমাদের জাতীয় ঐক্যকে ভাঙতে পারবে না। আলোচনার মাধ্যেমে, কাজের মাধ্যমে এবং একজোট হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সেই ঐক্য পুনর্গঠন করতে হবে।’

এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। দেশটি সরকারি এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের কথা শুনবেন প্রেসিডেন্ট। তবে কোনও যাদুকাঠির ছোঁয়ায় ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভকারীদের সব সমস্যা উধাও হয়ে যাবে না।’

বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় সরকার কী কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেগুলো এই ভাষণে ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার ভাষণের আগে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মী সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী বাজেটে জ্বালানির দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ইমানুয়েল মাক্রোঁকে শেষ জনসমক্ষে দেখা যায় গত ২৭ নভেম্বর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘গুন্ডাদের গুন্ডামির জন্য সরকার নীতি বদলাবে না।’’ যদিও সেই নীতি বদলাতেই হয়েছে তাকে। চাপের মুখে জ্বালানির দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত আপাত স্থগিত করেছে ফ্রান্স সরকার। কূটনীতিকরা বলছেন, মাঝখান থেকে ম্যাক্রো'র কয়েক সপ্তাহের ‘নীরবতা’ দেশবাসীর ক্ষোভে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!