• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নরপশুরা এতো সাহস কোথায় পায়, আমরাও কি ভারতের পথেই হাঁটছি?


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ৬, ২০২০, ০৭:০৮ পিএম
নরপশুরা এতো সাহস কোথায় পায়, আমরাও কি ভারতের পথেই হাঁটছি?

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ সহকারী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান, বলেছেন,  '৯০ পরবর্তী প্রায় ত্রিশ বছর (মাঝে দুই বছর বাদ) যে দেশের শাসন ক্ষমতা নারীদের হাতে, সেই দেশে ধর্ষণের বিচারিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনে বাধা কোথায়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২য় বর্ষের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ফেসবুক তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের কাছে ধর্ষণ এর ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি। যে দেশে প্রায় ত্রিশ বছর হতে যাচ্ছে শাসন ক্ষমতা নারীর হাতে, সেই দেশে ধর্ষণের বিচারিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন না আসার অর্থ হচ্ছে, পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে আদতে নারীরা দিনকে দিন অসহায় হয়ে পড়ছে, যতই আমরা আমাদের 'জয়িতা' বলি!

জয়িতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীই হউক কিংবা মাদ্রাসায় পড়ুয়া হউক, কিংবা ৮ মাসের মেয়ে শিশু হউক, তাতে পশুদের কিছু আসে যায়না কারণ তারা জানে, ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়ায় অনেক ফাঁক ফোঁকর আছে, তারা সহজেই পার পেয়ে গেছে, যাবে, যাচ্ছে.....। সেসব ফাঁক ফোঁকর বন্ধ করে দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ায় আমাদের যেতে হবে| আমাদের দেশে বছরের পর বছর বহু ধর্ষণের মামলা ঝুলে আছে, হয়তো সেটাই পশুদের অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করছে!

নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয়া হয়, সেগুলো হল- সমন্বিত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি। সমন্বিত উন্নয়ন তত্ত্বের মূল দর্শনই হচ্ছে, পরিবার ও সামাজিক উন্নয়ন, যার চাবিকাঠি মূলত নারী উন্নয়ন, অথচ নারীই সবচেয়ে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অবহেলিত, নিপীড়িত, শোষিত, নির্যাতিত এমনকি ধর্ষিত!

এই ধরণের ধর্ষণের কারণে বিশ্বব্যাপী ভারত আলোচিত ও সমালোচিত। আমরাও কি একই পথে হাঁটছি?

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!