• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য

নারীর কর্মসংস্থান ৩ বছরে কমেছে সাড়ে ৮ লাখ


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১০, ২০১৮, ১২:১৪ পিএম
নারীর কর্মসংস্থান ৩ বছরে কমেছে সাড়ে ৮ লাখ

ঢাকা : শিল্প খাতে নারীরা বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজে অক্ষম বিবেচনায় প্রতি বছর নারীর কর্মসংস্থান কমছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শিল্প খাতে নারীর কর্মসংস্থান কমেছে সাড়ে ৮ লাখের মতো।  বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপিডির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

‘প্রমোটিং ফিমেল এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ ফর রিয়েলাইজিং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্স’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি বুধবার (৯ মে) রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে ওই গবেষণাপত্রের ওপর সংলাপ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমিনিতি উইন্থার।

গবেষণায় আরো বলা হয়, কর্মক্ষম নারীদের প্রায় ৫৭ শতাংশ মজুরির বিনিময়ে কোনো কাজে সম্পৃক্ত নন। আবার তাদের প্রয়োজনীয় পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণও নেই। ফলে শ্রমবাজারে নারীদের একটা বড় অংশই অনুপস্থিত। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিতের গুরুত্বারোপ করা হয় আলোচনায়।  চার বছরের ব্যবধানে দেশের কর্মজীবী মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়। প্রকৃত আয় কমার দিক থেকে নারীর আয় পুরুষের তুলনায় বেশি।

পুরুষরা ২০১৩ সালে পেতেন ১৪ হাজার ৩০৯ টাকা। এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৫৮৩ টাকা মজুরি পান।

অপরদিকে, ২০১৩ সালে একজন কর্মজীবী নারী প্রতি মাসে গড়ে ১৩ হাজার ৭১২ টাকা মজুরি পেতেন। এখন পান ১২ হাজার ২৫৪ টাকা। মজুরি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা না গেলে প্রতিনিয়তই কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ কমবে। নারীরা যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তা রোধ করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য অর্জনে নারীদের আরো বেশি করে কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করা জরুরি। নারীরা কম মজুরিতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন, এটাও বন্ধ করা দরকার বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আমাদের এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে নারীদের জন্য আরো বেশি কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। খাবার রান্না ও গৃহস্থালি কাজে নারীদের অবদানের কোনো স্বীকৃতি নেই। এসব কাজ জিডিপিতে অন্তর্ভুক্তি দরকার।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!