• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তাকর্মী থেকে ফাইনালের রেফারি


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৮, ০৩:৪৬ পিএম
নিরাপত্তাকর্মী থেকে ফাইনালের রেফারি

ঢাকা: ভাগ্য মানুষকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় বলা কঠিন। চেষ্টা, পরিশ্রম নিয়ে যায় সফলতার চূড়ায়। একসময় সিনেমায় এক্সট্রা হিসেবে অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন ডিসকো বারের সিকিউরিটি গার্ডেরও।

সেই তিনিই হলেন ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ পরিচালনার রেফারি। ফাইনাল ম্যাচেও একই দায়িত্বে ছিলেন। বলছি আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্টর পিতানার কথা।

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা শুধু খেলার জন্য ফুটবল খেলে না, তাদের ঐতিহ্য ফুটবল। সেই ফুটবলের প্রতি প্রবল ভালোবাসা পিতানাকে মাঠে নিয়ে আসে। বাঁশি হাতে মাঠের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত ছুটে বেড়ান। চলচ্চিত্রে ‘এক্সট্রা’ হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছিলেন ডিসকোর সিকিউরিটি গার্ড। চেষ্টা কোথায় নিয়ে এসেছে তাঁকে।

রোববার (১৫ জুলাই) মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের রেফারিও ছিলেন পিতানা। এ ম্যাচের পরিচালনা করে দারুণ রেকর্ড ছুঁলেন ৪৩ বছর বয়সী পিতানা।

দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে একই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল পরিচালনা করা একমাত্র রেফারি হলেন তিনি। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে তাঁর স্বদেশি হোরাসিও এলিসন্দো এই কীর্তি গড়েছিলেন।

ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা পিতানা আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলের চেনা মুখ। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলের মেজাজি খেলোয়াড়েরাও তার সঙ্গে সুবিধা করতে পারে না।

ট্রান্সফারমার্কেট ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পিতানা ৩৪৭টি পেশাদার ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এক হাজার ৬৫৮টি হলুদ কার্ড এবং ১০৮টি লাল কার্ড দেখিয়েছেন খেলোয়াড়দের। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর ৮১বার পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি।

আঞ্চলিক পর্যায়ে বাস্কেটবল এবং ফুটবল খেলা পিতানা রেফারিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন এবং শরীরিক শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৯৭ সালের আর্জেন্টাইন চলচ্চিত্র ‘লা ফুরিয়া’তে কারারক্ষীর ভূমিকাতেও কাজ করেন পিতানা। এছাড়া লাইফগার্ড এবং একটি ডিসকোর সিকিউরিটি গার্ডের চাকরিও করেন তিনি। পিতানা ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপেও রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া বনাম সৌদি আরবের ম্যাচ পরিচালনা করেন। গ্রুপ পর্বে সুইডেন মেক্সিকোর ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়া ডেনমার্কের ম্যাচের দায়িত্বে ছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স উরুগুয়ে ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন পিতানা।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্স জার্মানির কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বও ছিল আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্টর পিতানার কাছে। ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা হিসেবে মানুষের অন্তরে আছেন নেস্টর পিতানা।

এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ গেছে ফরাসিদের কাছে। ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দুই দশক পর আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!