• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না

নিরাপদ সড়ক কতদূর


বিশেষ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০১:৩৫ পিএম
নিরাপদ সড়ক কতদূর

ঢাকা : হরহামেশা জীবনের তাগিদে কিংবা জীবিকার প্রয়োজনে নগরীর রাস্তায় নামেন মানুষ। এর মাঝেই ঘটে নানা দুর্ঘটনা। তার অধিকাংশই সড়কে গণপরিবহনের চাপায় কিংবা ধাক্কায়। পরে চলে আলোচনা-সমালোচনা। কারা দায়ী, কীভাবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়? একসময় সব থেমে যায়। ফের ঘটে দুর্ঘটনা।

এভাবেই সড়ক বিশৃঙ্খল রয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে ওঠা যানবাহন কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক তাজা প্রাণ। কেউ কেউ আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এরই মধ্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়; যার অধিকাংশই এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

গত বছর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে তখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংসদে সড়ক আইন-২০১৮ পাস হয়। সে আইন পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন সরকারেরই এক ক্ষমতাধর মন্ত্রীর সংগঠনের নেতারা বিরোধিতা করেন। আইনটি যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য দেশব্যাপী ধর্মঘট ডাকা হয়। এসবের মধ্যেই সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়েও শতাধিক সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় কমিটি। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীও সবশেষ একনেক বৈঠকে সড়ক শৃঙ্খলার ফেরানোর নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারানোর পর রাজধানীর গণপরিবহনের শৃঙ্খলা নিয়ে আবারো আলোচনা-সমালোচনা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে রাজধানীতে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় কিংবা চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর বাংলামোটরে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের চাপায় বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা পা হারান। ওই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ঘাতক বাসটির চালককে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু এরপরও ঘটে যায় ডজনখানেক দুর্ঘটনা।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি-আমতলীর মাঝামাঝি মহাখালী উড়ালসড়কের পাশের রাস্তা পার হয়ে ফুটপাতে উঠছিলেন ফারহা। হঠাৎ ক্যান্টনমেন্ট মিনিবাস সার্ভিসের একটি বেপরোয়া গতির বাস ধাক্কা দেয় বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে। সেখানে দাঁড়ানো এক যুবক ছিটকে পড়ে যান। এরপরও রক্ষা পাননি দাঁড়িয়ে থাকা ফারহা। ফুটপাতঘেঁষে বাসটি মুহূর্তেই ধাক্কা দেয় ফারহা নাজকে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, ঘটনাস্থলেই ফারহার মৃত্যু হয়েছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন ফারহা। চার বছর আগে বিয়ে হয় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের সঙ্গে। মিরপুরের মনিপুর এলাকায় থাকতেন তিনি। ফারহা নাজের মৃত্যুর দিনই অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাসের ধাক্কায় সংগীত পরিচালক ও সুরকার পারভেজ রব নিহত হন।

একই পরিবহনের অপর একটি বাসের চাপায় গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পারভেজ রবের সন্তান আলভী আহত এবং আলভীর বন্ধু মাহমুদ নিহত হন। একই দিন রাত আড়াইটার দিকে উত্তরার কামারপাড়ায় বাসের ধাক্কায় রাশেদ হাওলাদার (২০) নামের এক ট্রাক হেলপার নিহত হন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ডেমরায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় কামরুল হাসান ওরফে সানি (২৬) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। কামরুল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন।

গত ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর এলাকায় একটি বাসে উঠতে যান মোহাম্মদ সেলিম (৩৩) নামের এক যুবক। এ সময় পাশ দিয়ে আরেকটি বাস এসে তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সেলিম।

২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় হোমনা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা বাবা ইমারত হোসেন (৪৮) নিহত হন। আহত হন আবদুল হাদী ওরফে ইমন (২২)। আহত হাদী ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।

গত ২৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় লাশ হয়ে ফেরেন বাবা আফছার উদ্দিন (৫৮)। তিনি বংশালের মকিমবাজার এলাকার বাসিন্দা।

৩১ আগস্ট মালিবাগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বাসের চাপায় হেমায়েত হোসেন (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। ঘটনার পর চালকসহ বাসটিকে আটক করে রামপুরা থানা পুলিশ। নিহত হেমায়েত ইন্টেরিয়র প্লাস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক।

প্রাণ হারানোর এ মিছিল থেকে বাদ পড়ছেন না পরিবহন শ্রমিকরাও। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মাতুয়াইল এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সহকারী আবদুল কুদ্দুস (৪৫) নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন বাসটির সুপারভাইজার মনিরুজ্জামান (৩৫)।

সম্প্রতি ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের গত আট মাসে দুই হাজার ৮০৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮৪ নারী ও ৪৭৮ শিশুসহ তিন হাজার ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হন পাঁচ হাজার ৬৯৭ জন।

গত ২৫ আগস্ট নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এক প্রতিবেদনে জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে নয়দিনে সারা দেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩৫টি। এতে নিহত হন ১৮৫ জন এবং আহত হন ৩৫৫ জন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই ১৩০টি দুর্ঘটনায় ১৮০ জন নিহত ও ৩৪৪ জন আহত হন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সড়কে শৃঙ্খলা আনা ও দুর্ঘটনা কমাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ টাস্কফোর্সে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা থাকবেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় ১১১ দফা সুপারিশ উত্থাপিত হয়। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে এ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি জানান, বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের তথ্যানুসারে সড়ক দুর্ঘটনায় গত পাঁচ বছরে ১২ হাজার ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, শৃঙ্খলার মধ্যে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে না। বিশৃঙ্খলা হলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে আপনি-আমি যে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি। তিনি বলেন, এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শুধু পরিবহনের কারণেই নয়; পথচারী, বেপরোয়া বাইক, সিএনজি কিংবা প্রাইভেট কারের কারণেও ঘটে।

এনা পরিবহনের মালিক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ প্রাণহানির ঘটনায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক কেউই দায় এড়াতে পারেন না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আরো অনেক কিছু জরুরি।

তিনি বলেন, সারা দেশে পরিবহন সেক্টরের অবস্থা খারাপ নয়। রাজধানীর দুর্ঘটনা সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এসব বন্ধে পরিবহন মালিকপক্ষ অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চালক-শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। টিকিট কাউন্টার স্থাপন, নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামানো এবং যাত্রী নামানোর জন্য বাস বে নির্মাণের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। উন্নত বিশ্বেও মামলা ও জারিমানা হয়। তবে উন্নত বিশ্বে মামলার টাকা পরিশোধ করতে হয় চালককে, আর আমাদের দেশে তা পরিশোধ করেন মালিক পক্ষ। তিনি বলেন, যতক্ষণ চালককে লাগাম লাগানো না যাবে ততক্ষণ এর সুফল মিলবে না।

বিআরটিএর পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, টাস্কফোর্স গঠন ও কার্যকর হলে দুর্ঘটনা কমবে ও সড়কে শৃঙ্খলা দৃশ্যমান হবে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। এটি রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া সড়ক ব্যবহারকারী বা পথচারী ও চালকদের অসচেতনতার কারণেও সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলা দেওয়ার কারণেই আগের চেয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা বেশ নিয়ন্ত্রণে আছে।

তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থায় জরিমানা বিশ্বব্যাপী। এটা একটা বৈধ পদ্ধতি। এটা আছে বলেই ঢাকা শহরে লাখো গাড়ি চলে, শৃঙ্খলা ধরে রাখা গেছে, তা না হলে আরো খারাপ অবস্থা হতো।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী আমরা। কিন্তু যেখানে বিনিয়োগ ছাড়া শুধু সিস্টেম ডেভেলপ করে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব সেখানে আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটবে না- এমন সুন্দর উদাহরণ রাজধানীতেই আছে। ঢাকা চাকা কিংবা হাতিরঝিল চক্রাকারের মতো এক করিডোরে, এক কোম্পানির অধীনে রাজধানীর পরিবহন সেক্টরকে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে প্রতিযোগিতা থাকবে না, যাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না। যাত্রী না থাকলেও চালকরা বেতন পাবেন। এ ধরনের পরামর্শ ২০০৫ সালে, ২০১৩ সালেও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্বাহী মহলে গাদা গাদা পরামর্শ লিপিবদ্ধ। বিস্তৃত পরিসরে চালু করা গেলে পুলিশ ছাড়া, মালিক ছাড়া, নিয়ন্ত্রণ ছাড়া স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিবহন চলবে। তখন দুর্ঘটনা ঘটবে না। এটা করা না গেলে হাজারও কমিটি করেন, টাস্কফোর্স গঠন করেন, কোনো লাভ হবে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণেই সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাচ্ছে না। অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে সামনে তা আরো ভয়াবহ হবে।

গত ২৬ আগস্ট একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পণ্যবাহী কোনো যানবাহন বা ট্রাক ওভারলোড হয়ে সড়কে উঠতে পারবে না। সব সড়কের পাশে ড্রাইভার-হেলপারদের জন্য আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। আমরা চাই যাতে কোনো চালক একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালান।

এর আগে গত বছর আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সড়ক সংশ্লিষ্টরা কাজেও নামেন। তবে শেষতক বাস্তবায়ন হতে আর দেখা যায়নি এবং এক বছর পরও রাজধানীর গণপরিবহনের চিত্র বদল হতে দেখা যায়নি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!