• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচন ঘিরে জঙ্গিদের তৎপরতা ঠেকাতে প্রস্তুত পুলিশ


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১৪, ২০১৮, ০৩:২০ পিএম
নির্বাচন ঘিরে জঙ্গিদের তৎপরতা ঠেকাতে প্রস্তুত পুলিশ

ঢাকা : নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ততই বাড়ছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিরা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে। তাদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারেন দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজন। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে পুলিশ।

আনসার উল্লা বাংলা টিমের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া অধরা থাকায় এবং আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা ছদ্মবেশে তৎপর থাকায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এমন আশঙ্কা করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গিরা ফের সংগঠিত হওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নতুন হামলারও ছক করছে। আর এই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন জঙ্গি দমনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।

সূত্র  জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেটি আমলে নিয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে সারা দেশে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সহিংসতা এবং নাশকতামূলক তৎপরতাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেও দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার তাগিদ দিয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে একাধিক বার্তা পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি বার্তাতেই সন্ত্রাসী, জঙ্গি গ্রেফতারসহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত, বহিরাগতদের যাতায়াতের ওপর কঠোর নজরদারিসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, পুলিশের কাজই হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা। পুলিশ সেটা করবে। তবে নির্বাচন ঘিরে জঙ্গিরা তৎপর সেটা মানতে নারাজ তিনি।

তিনি বলেন, দেশে এখন জঙ্গি নেই। থাকলেও নগণ্যসংখ্যক। তারা বড় কোনো হামলা চালাতে পারে বলে আমি মনে করি না। তবে পুলিশ সব সময় সতর্ক আছে। আসন্ন নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ধরনের কাজে যারা লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করবে তাদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রগতিশীল নেতা, মুক্তমনা লেখক-ব্লগার, বিদেশি নাগরিক ও জঙ্গি দমনে নিয়োজিত র্যাব-পুলিশ ছদ্মবেশী জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারেন। কয়েকটি এনজিও নিজেদের কর্মকাণ্ডের আড়ালে জঙ্গিদের অর্থায়ন করছে।

এ ছাড়া সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়ে পালিয়ে থাকা মাস্টারমাইন্ড আনসার উল্লা বাংলা টিমের সামরিক কমান্ডার মেজর জিয়া নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি তৎপরতা রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। অ্যান্টি টেরোরিজম সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হতে। মেজর জিয়ার নেটওয়ার্ক আমাদের নখদর্পণে। সে নতুন কোনো ছক কষলেই তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারব।

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কোনো আশঙ্কা আছে বলে আমি মনে করি না। তবে চোরাগোপ্তা হামলা হলেও হতে পারে। সে ব্যাপারে পুলিশ ও র্যাব সতর্ক রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!