• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা না হলে বাড়বে রপ্তানি


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৮, ০৮:১১ পিএম
নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা না হলে বাড়বে রপ্তানি

ঢাকা : অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তার সঙ্গে সেবা রপ্তানির আয় ১৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার ডলার যোগ করে দেশের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ১২ লাখ ৫ হাজার ডলার। দেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কোন সহিংসতা না হলেই রপ্তানি বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকরা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে জুলাই-অক্টোবর সময়ে পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৫ দশমিক আট এক শতাংশ। নীট পোশাকে আয় হয়েছে ৫০২ কোটি ১৮ লাখ ২ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক আট তিন শতাংশ। ওভেন খাতে আয় হয়েছে ৫১৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। যা এর আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ছয় এক শতাংশ বেশি। পোষাক খাতের পাশাপাশি কৃষি পণ্য, চা শিল্প, তামাক, ইলেকট্রিক পন্যসহ মোট ২৭ টি পণ্যের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো। ২০১৭ সালের আগস্টের তুলনায় এ বছরের আগস্টে আমদানি কমেছে ৫ দশমিক এক সাত শতাংশ। তবে নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না রপ্তানি খাতে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো মহাপরিচালক-২ মোহাম্মাদ রমজান আলী বলেন, ‘এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও মারামারি, হানাহানি বা কোনও হরতাল এ ধরনের কোনও কিছু হচ্ছে না। যথেষ্ঠ পরিমাণ আমাদের রপ্তানি অর্ডারটাও হচ্ছে। নির্বাচন হোক আর যাই হোক, রপ্তানি বাণিজ্যে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে চেষ্টা সব মহল থেকেই করা হচ্ছে।’

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের অনেকেই হয়তো উৎপাদনে যাচ্ছেন না। ফলে আমদানি কিছুটা কমলেও ২০১৪-এর নির্বাচনের মতো হরতাল- অবরোধ-সহিংসতা সৃষ্টি না হয় তেমনটাই চান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বের ইতিহাস যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে নির্বাচন মানেই মারামারি, কাটাকাটি যার ফলে ব্যবসায়-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল অবস্থাতেই আমাদের পুরো দেশটাই আগাচ্ছে। তাই আমি মনে করি এবার আমরা বেশ আশার আলোই দেখছি। আমাদের আমদানি-রপ্তানি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুব বেশি প্রভাবিত হচ্ছে বলে আমি মনে করি না।’

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নভেম্বর-ডিসেম্বরের শীপমেন্ট প্রডাক্টের এলসি খোলা হয় আরও ৪ মাস আগে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কম এলসি খোলা হলেও রপ্তানি মৌসুম হওয়ায় অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষমাত্রা চেয়ে বেশি হবে রপ্তানি আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘রপ্তানি গতানুগতিকভাবেই যাচ্ছে। আগে থেকে যেগুলো মাস্টার এলসি খোলা হয়েছে এবং যেই সময় শিপমেন্ট করতে হবে সে গতি অনুযায়ী চলে যাচ্ছে। নির্বাচনের তারিখকে সামনে রেখে হয়তো এলসি’র ব্যাপারটি নির্ধারণ করবে।’

চলতি অর্থবছর তিন হাজার ৯শ’ কোটি ডলার পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!