• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে কারসাজির জন্য দফায় দফায় বৈঠক


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮, ১০:৫৫ পিএম
নির্বাচনে কারসাজির জন্য দফায় দফায় বৈঠক

ঢাকা : নির্বাচনে কারসাজি করতে পুলিশের সদর দফতরে দিনে-রাতে দফায় দফায় বৈঠক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার সারা দেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপির নীল-নকশা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে। পুলিশের সদর দফতরে দিনে রাতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর আছে, নৌকার বিজয় ছিনিয়ে দিতে পারলে পুলিশের এসি, এডিসি, ওসিদের প্রোমোশন এবং নগদ অর্থের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্দেশনা কার্যকরের তদারকি করার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। নির্বাচনকে কীভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেয়া যায়, কীভাবে কারচুপি করা যাবে-সে বিষয়ে নীলনকশার সাধারণ সূত্র উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে পাঠানো হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ছাত্রলীগের বাছাই করা দশ হাজারের বেশি ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে-ভোটের সময় ডিবি পুলিশের সাথে কাজ করার জন্য।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ডিএমপি ডিবির জয়েন্ট কমিশনার, এডিসি ও তার অধীনস্ত এসিদের বলেছেন যে, যদি তারা তাদের দায়িত্বাধীন কেন্দ্রে নৌকাকে বিজয়ী করতে পারে, তবে প্রত্যেকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেয়া হবে। এটা ভয়াবহ উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের দল অনুগত কর্মকর্তাদের ভুমিকায় সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ- ব্যক্তিগত লাভ ও প্রলোভনে পড়ে দেশ ও গোটা জাতিকে ধ্বংস করে দিবেন না। শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশ্চিহ্ন করবেন না। মানুষের পাশে দাঁড়ান। অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর কথা শুনে মানুষের বাক-স্বাধীনতাকে গলাটিপে ধরার যন্ত্র হিসেবে কাজ করবেন না। নাগরিক স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করুন। আপনার দেশপ্রেম প্রমাণের সুবর্ণ সুযোগ এসেছে ৩০ ডিসেম্বর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ন্যুনতম নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আজই মাঠে নামাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীকে ৬৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, আনসার বাহিনীকে ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, কোস্টগার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবিকে ৩৩ কোট ২ লাখ এবং র‌্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গুঞ্জন আছে-সেনাবাহিনীর নামে কোনো বরাদ্দ না দিয়ে তাদেরকে ব্যারাকেই রাখা হবে। এটি একটি অশুভ মহাপরিকল্পনার নির্বাচন করারই পূর্বলক্ষণ।’

সরকারের কারসাজিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে সর্বগ্রাসী স্বৈরতন্ত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানই তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারছে না। সরকারি সন্ত্রাসের প্রকোপে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলি স্বাচ্ছন্দে তাদের কর্তব্য পালন করতে পারছে না। মানুষের বেঁচে থাকার সকল অবলম্বনকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডুবে যাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!