• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিষিদ্ধপল্লিকে যে কারণে ‘রেড লাইট এরিয়া’ বলা হয়


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুলাই ৪, ২০১৬, ১২:৩৩ পিএম
নিষিদ্ধপল্লিকে যে কারণে ‘রেড লাইট এরিয়া’ বলা হয়

‘রেড লাইট’ বা লাল আলোর সঙ্গে দেহব্যবসার কী সম্পর্ক? কোথা থেকে এল এই ‘রেড লাইট’ শব্দটি? আর কীভাবেই বা তা জুড়ে গেল দেহব্যবসার সঙ্গে?

ঠিক কীভাবে লাল আলোর সঙ্গে দেহব্যবসা জুড়ল, তার বিবিধ ব্যাখ্যা রয়েছে। যেমন একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়ে থাকে, হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে লাল বাতির সঙ্গে যৌনকর্মীদের সম্পর্ক রয়েছে। ‘লাল’ আলোর সঙ্গে যৌনতা সম্পৃক্ত বলে মনে করা হত আমেরিকা এবং ইউরোপের একাংশে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের বহু যৌনপল্লিতে নীল আলো ব্যবহার করা হত। নীল আলোর অর্থ ছিল, সেই সব যৌনপল্লিতে একমাত্র উচ্চপদাধিকারীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। লাল আলো যেখানে জ্বালানো হত, সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল বাকিদের।

আর একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, চিনের যৌনপল্লিগুলিতে লাল লণ্ঠন জ্বালিয়ে রাখার রেওয়াজ ছিল। সেই থেকেই লালের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগ। তৃতীয় ব্যাখ্যাটি বেশ মজাদার। বলা হয়, একসময়ে ইউরোপের বেশিরভাগ যৌনপল্লিই ছিল রেললাইনের আশপাশের অঞ্চলে। রেলকর্মীরা সে সব জায়গায় যেতেন। কিন্তু যৌনপল্লিতে ঢোকার আগে তারা তাদের লাল লণ্ঠনটি বাইরে রেখে যেতেন, যাতে যে কোনও প্রয়োজনে বোঝা যায়, তারা কোথায় রয়েছেন।

চতুর্থ ব্যাখ্যায় এর যোগ পাওয়া যায় জাপানের সঙ্গে। ‘রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট’-এর অন্যতম জাপানি অনুবাদ হল ‘আকাসেন’। যার আক্ষরিক অর্থ ‘লাল দাগ’। বৈধ যৌনপল্লিগুলির এলাকা বোঝাতে জাপানি পুলিশ লাল দাগ দিয়ে সেগুলির সীমানা চিহ্নিত করত। বাকি এলাকা চিহ্নিত করা হত নীল কালি দিয়ে।

আবার, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে যে পৃথিবীবিখ্যাত যৌনপল্লি রয়েছে, সেখানেও প্রধান রং লাল। পঞ্চম ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই এলাকা থেকেই ‘রেড লাইট’ নামটি ছড়িয়েছে। শুধু নেদারল্যান্ডসই নয়, ইউরোপের বহু দেশেই দেহব্যবসা বৈধ করা হয়েছে। এই এলাকাগুলি ফ্লুরোসেন্ট লাল আলো দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ষষ্ঠ ব্যাখ্যা বলে, এই সব এলাকা থেকেই ‘রেড লাইট এরিয়া’ নামটি এসেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম
 

Wordbridge School
Link copied!