• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিয়তিকে মেনে নিয়ে কেবিনেই সংসার পেতেছেন খালেদা জিয়া!


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৩১, ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম
নিয়তিকে মেনে নিয়ে কেবিনেই সংসার পেতেছেন খালেদা জিয়া!

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৬ মাস হলো কারাগারে রয়েছেন। এই ১৬ মাস সময়ের মধ্যে কখনও ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আবার কখনও হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে। এক মাস ২৯ দিন ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। আর্থাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ক্রনিক রোগব্যাধিতে ভুগছেন তিনি।

এদিকে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটাচ্ছে বলে বিএনপি দাবি করছে। এমন অবস্থায় দলের অনেকেই নাম প্রকাশ না করে বলছেন, এখন নিয়তিকে মেনে নিয়ে হাসপাতালের কেবিনেই সংসার পেতেছেন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত রোজা রাখছেন, ইফতার করছেন।

হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলে তিনি সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথাবার্তা বলছেন। কখনও তাকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখেননি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

বুধবার (২৯ মে) বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক জানান, কয়েক দিন ধরে মেডিকেল বোর্ড ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া আগের তুলনায় অনেক ভালো। তিনি রোজা রাখছেন। ছোলা মুড়ি দিয়ে ইফতার করছেন।

ইফতার কোথা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক জানান, খালেদার সঙ্গে থাকা সহকারী হাসপাতালের রান্নাঘরে নিজ হাতে ওই ইফতার তৈরি করছেন।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ঝিলন মিঞা সরকার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। সি ইজ ফাইন, সি ইজ ইমপ্রেসিব।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন খালেদা জিয়া। আপিলে হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে বন্দি কয়েদি হিসেবে চিকিৎসাধীন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!