• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত টাইগাররা


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০১:৪৪ পিএম
নেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত টাইগাররা

ঢাকা : মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর টি-টোয়েন্টি মিশন শেষ ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরে। এবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পালা। ভারত সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইন্দোরে প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

আর এ ম্যাচকে ঘিরে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রথম টেস্টের ভেন্যু ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের নেটে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা ঘাম ঝরিয়েছে। এই সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত।

ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অনেক আগে শুরু করলেও, বাংলাদেশের জন্য এটিই প্রথম। ফলে সিরিজটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে লাল-সবুজরা।

নেট সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জিকে তার শিষ্যদের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এছাড়াও হালকা বোলিং ও ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন। তবে মূল ফোকাস ছিল, ভারতীয় স্পিনারদের কীভাবে আটকানো যায়।

এদিকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হতে পারেন উমেষ যাদব, ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ শামির মতো ভারতীয় পেসাররা। বিগত দিনেও প্রতিপক্ষকে এই বোলাররা গতি ও বাউন্স দিয়ে ঘায়েল করেছেন। ফলে তাদের কথা মাথায় রেখে পুল শট খেলার অনুশীলন করতে দেখা যায় টাইগার ব্যাটসম্যানদের।

ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। যেখানে ইন্দোরের পরে ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে গোলাপি বলে।

ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইন্দোরের এই স্টেডিয়ামে নেমেছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড। ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বিরাট কোহলির ভারত।

আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র্যাংকিংয়ে বোলারদের তালিকায় ২৫ জনের ছয়জনই ভারতীয়। চার নম্বরে আছেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।

দশে আছেন স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন, ১৪-তে রবীন্দ্র জাদেজা, ১৫-তে মোহাম্মদ শামি। ২২ নম্বরে পেসার ইশান্ত শর্মা আর ২৪ নম্বরে আছেন আরেক পেসার উমেস যাদব। এই ছয় বোলারই আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। কঠিন এক চ্যালেঞ্জই নিতে হবে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। বোলারদের ওই তালিকায় বাংলাদেশের তিন জন আছেন শীর্ষ ২৫-এ।

২০ নম্বরে সাকিব, ২৩ নম্বরে তাইজুল আর ২৫ নম্বরে মিরাজ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিবের এই সিরিজে খেলা হচ্ছে না।

গত চার বছরে হোম সিরিজ ভারতীয় পেসারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পেসারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই তাদের উইকেট দেওয়া হচ্ছে।

২০১৭ সালে সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালো করেছিল। ভারতীয় পেসাররা সুবিধা পেলে সেখানে বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি আর এবাদত হোসেনরা।

ঘরোয়া ক্রিকেট রঞ্জি ট্রফিতে সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেট দেওয়া হলেও মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কিউরেটর সামান্দার সিং চৌহান গত চার বছর ধরে তৈরি করেছেন লাল মাটির উইকেট।

ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, লাল মাটির উইকেট পেসারদের জন্য সত্যিকারের স্বর্গরাজ্য। এই উইকেটে নিমিষেই পেসাররা অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতে পেসারদের সহায়তা করে লাল মাটির উইকেট। তবে স্ট্রোকমেকার ব্যাটসম্যানদের জন্যও এই উইকেট যথেষ্ট সহায়তা করবে। স্পিনাররা চাইলেই বাড়তি সুবিধা পাবে এই উইকেটে। লাল মাটির উইকেটকে বলা হচ্ছে পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেট। প্রধান কিউরেটর সামান্দার সিং চৌহান জানান, ‘দুই দলের সমান সুযোগ থাকবে। তবে, যতই দিন যাবে উইকেট আরও শক্ত হবে।’

বাংলাদেশ দল : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), শাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাইফ হাসান, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন।

ভারত দল : বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারী, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, উমেষ যাদব, ইশান্ত শর্মা, শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!