• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নোবেলকে নিয়ে বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে


বিনোদন ডেস্ক আগস্ট ১৬, ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম
নোবেলকে নিয়ে বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে

ঢাকা: ঈদের পরেরদিন থেকেই দেশের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সঙ্গীতশিল্পী নোবেলকে নিয়ে 'বানানো' বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যেগুলোতে নোবেলকে উপস্থাপন করা হয়েছে অশালীনভাবে। এমন কিছু একটি মেয়ের নামে বানানো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই অ্যাকাউন্ট 'গায়েব' হয়ে যায়। ওই অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়েছিল ছবিগুলো আর বক্তব্য পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে।

স্বাভাবিকভাবেই ভক্তরা বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন। তবে এরইমধ্যে এই ঘটনাকে উপজীব্য করে কলকাতার গণমাধ্যম উঠে পড়ে লেগেছে নোবেলকে 'চরিত্রহীন' লম্পট প্রমাণ করার জন্য। কলকাতার কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের নোবেলকে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম করা হয়েছে 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস! নোবেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কিশোরীর' কিন্তু কেই কিশোরী? 

কিশোরীর খোঁজ নেই। কিশোরীর অভিযোগে অনেক গড়মিল। কিশোরীর যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে সেসকল ছবিতে নোবেলের মুখ পাওয়া গেলেও নোবেলের শরীর পাওয়া যায়নি। অন্তত গ্রাফিক্স অভিজ্ঞদের তাই মত।

কলকাতার ওই গণমাধ্যমটি বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এরকম কোনো খবরই প্রকাশ হয়নি। তবে একটি নামসর্বস্ব ওয়েবসাইটে অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট-এর লেখাগুলোকে 'সংবাদ' বানিয়ে আপলোড করা হয়।  

একভক্ত তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকে বলছেন, 'ভাইরাল হওয়া ছবিগুলায় কিছু ছবি আছে যে নোবেল শুয়ে আছে। আর ওই ছবিগুলায় বুঝা যাচ্ছে যে নোবেলের মোটা সোটা একটা লুক! খেয়াল করলে দেখা যায় যে গত কিছুদিন যাবত বিভিন্ন ফ্যানপেজ বা গ্রুপে নোবেলের মোটা-সোটা লুকের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল। যেই মেয়েটা নোবেলের এগেইন্সটে এলিগেশন এনেছে তাঁর ভাষ্যমতে নোবেলের সাথে ওর রিলেশন ছিল গতবছর। কিন্তু গতবছরের নোবেলের ছবি ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় যে নোবেল স্লিম ছিল! তাহলে নোবেলের আজকের ভাইরাল হওয়া ছবি গুলায় মোটা লুক আসলো কীভাবে? নোবেল কি তাহলে প্রতি বছর নিয়ম করে মোটা হয়?'

সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে ছড়াল এইসব ছবি? অজ্ঞাত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ করে গায়েব হয়ে যায় কিন্তু ততক্ষণেই  অ্যাকাউন্ট থেকে যথেষ্ট কপি-পেস্ট হয়ে যায়। যার ফলে সত্যতা যাচাই না করে সকলেই যেখানে যেভাবেই পাওয়া যাচ্ছিল শেয়ার করতে দ্বিতীয়বার ভাবছিল না কেউ। যেমন 'নাদিয়া সুলতানা নদী। তিনি নিজেই লিখেছেন সত্য মিথ্যা কতটুকু জানি না। শারমিন সুলতানার ওয়াল থেকে সংগৃহীত। তাহলে কে এই শারমিন সুলতানা? 

সেটাও জানার উপায় নেই। কারণ নোবেল এর বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে এই আইডি মুছে ফেলা হয়েছে। যে আইডির অস্তিত্ব নেই তার বক্তব্য কতখানি সত্য হতে পারে? পোস্ট এর সঙ্গে যে ছবি গুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো দেখে অনেকে বলছেন স্রেফ ফটোশপ করে ছবি বিকৃতি ঘটিয়ে ছবির সঙ্গে ছবি বসিয়ে বানোয়াট একটা গল্প বানানো হয়েছে।

ঢাকার একজন ফটোশপ এক্সপার্ট সাইদুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ সময় ছবিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে বলেন, এসব ছবি অরিজিনাল নয়। অর্থাৎ ছবিতে কাজ করা হয়েছে। গলা কেটে জোড়া লাগানোর মতো কাজ করা হয়েছে ছবিতে।

তবে ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের যাচাই বাছাই ছাড়াই এমন খবর প্রকাশ করায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলছেন, এক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমন নোংরা নিউজ করেন কিন্তু শীর্ষ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে তো ভালো ভালো ভারতে প্রচারযোগ্য খবরও প্রকাশ করেননা আপনারা।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!