• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইল ১ আসনে নৌকার মাঝি মুক্তি, ধানের শীষে সাজ্জাদ


ফরহাদ খান, নড়াইল ডিসেম্বর ৮, ২০১৮, ১১:২৪ এএম
নড়াইল ১ আসনে নৌকার মাঝি মুক্তি, ধানের শীষে সাজ্জাদ

নড়াইল: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নড়াইল-১ আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কবিরুল হক মুক্তি ও ধানের শীষ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন। 

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকালের দিকে নৌকা প্রতীকের চূড়ান্ত চিঠি পেয়েছেন মুক্তি। ফলে ১১দিনের অপেক্ষার অবসান হলো। গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে প্রথমে নৌকার টিকিট লাভ করেন আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। 

পরেরদিন (২৭ নভেম্বর) সকালে মনোনয়ন পায় মহাজোটের শরিক জাসদের একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুই নেতাকে মনোনয়নের চিঠি দেয়ায় তাদের সমর্থকদের মাঝে আনন্দ-উৎসবের পাশাপাশি এতোদিন নির্বাচনী এলাকায় চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। অবশেষে সব উৎকণ্ঠার অবসান হলো। 

এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নড়াইল-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত হযেছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন। এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। এখানে অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন-মাউলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান যুবদল নেতা এস কে এম সাজ্জাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। 

অন্যদিকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত নড়াইল-২ আসনে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। এখানে মনোনয়নের আশায় আছেন-সাবেক এমপি মরহুম শরীফ খসরুজ্জামানের ছেলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসম্পাদক শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী ও ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান। 

চূড়ান্ত প্রার্থীর আশায় বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন ঐক্যফ্রন্টের নীতি নির্ধারকদের দিকে। তবে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা। এখন বিএনপি থেকে তার প্রতিদ্ব›দ্বী কে হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন সবাই।

দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কবিরুল হক মুক্তি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। আমার প্রতি জনগণের ভালোবাসা ছিল, তাই জননেত্রীরও ভালোবাসা পেয়েছি। আশা করি সবাই পাশে থাকবেন। 

জানা যায়, এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন মুক্তি। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

এছাড়া কালিয়া পৌরসভার দুইবার মেয়র ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থেকে এলাকায় একাধিক সড়ক, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করেছেন মুক্তি। উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতায় একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করতে চান তিনি।

জেলা রিটার্নিং কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই শেষে নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি, মহাজোটের অপরপ্রার্থী শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিএনপি প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, মাউলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান যুবদল নেতা এস কে এম সাজ্জাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জেলা জাপার (এরশাদ) সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন এবং এনপিপি’র (ছালু) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনসুরুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এখানে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, বিএনপি প্রার্থী শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী, অপর প্রার্থী এনপিপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান, বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা জাপার সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ আসনে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। নড়াইলের দু’টি আসনে ২৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। 


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!