• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নয় বছরে ঝরে পড়েছে দেড় লাখ জে এস সি পরীক্ষার্থী


কুমিল্লা প্রতিনিধি নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম
নয় বছরে ঝরে পড়েছে দেড় লাখ জে এস সি পরীক্ষার্থী

কুমিল্লা: গেল নয় বছরে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন জুনিয়র স্কুল সাটিফিকেট (জে এস সি) পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ জন। এ সময়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে রেজিট্রেশন করে ২২,৭২,৬৯৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২,১১৫,১২৭ জন পরীক্ষার্থী। ২০১০ সালের জে এস সি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হলেও ঐ বছর কোন পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েনি।

আর পরবর্তীতে ২০১১ সালে বোর্ডের ১ হাজার ৭৩৪টি বিদ্যালয়ের ১লাখ ৮০ হাজার ৪শ’ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষা অংশ নেয় করে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৫২৪ জন।  ২০১২ সালে ১ হাজার ৭৪০টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৯২ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ অংশ নেয় ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬১ জন এবং ঝরে পড়ে ১৩ হাজার ৮৭০ জন। 

এরপর ২০১৩ সালে ১ হাজার ৭৫৯ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯২ জন এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৮৬৪ জন।  ২০১৪ সালে ১ হাজার ৭৭৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮১ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং ঝরে পড়ে ২৪ হাজার ১৩৪ জন। ২০১৫ সালে ১ হাজার ৯৩৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯০ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫ জন এবং ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৯৮৫ জন।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮৭০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৫০ হাজার ২৮ জন এবং ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৪৬০ জন। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৮৭৪ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬০১ জন এবং ঝরে পড়ে ২২ হাজার ৩৭৫ জন।

এরপর ২০১৮ সালে ১ হাজার ৮৯৯ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ জন এবং ঝরে পড়ে ২৮ হাজার ৯৪৪ জন।  ২০১৯ সালে ১ হাজার ৯৩০ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৯০ জন এবং ঝরে পড়ে ১৯ হাজার ৪১৬ জন।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবদুস সালাম বলেন, বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যেমন বাল্যবিবাহ, দারিদ্র, পড়াশোনার প্রতি অনিহা, অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। তিনি এ বোর্ডের ঝরে পড়ার হার দেশের অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে কম বলে দাবি করেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!