• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগ করছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৪:০১ পিএম
পদত্যাগ করছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : অবশেষে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি জানান, দেশটির সংসদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

এর আগে শুক্রবারের খুতবায় দেশটির শিয়াদের ধর্মীয় গুরু আয়াতুল্লাহ আলি আল সিসতানি প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য সংসদের প্রতি আহবান জানান। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের কথা জানান আদেল আব্দুল-মাহদি।

তিনি বলেন, ‘তার আহবান এবং যত দ্রুত সম্ভব সেটি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের প্রধান হিসেবে আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য আমি সংসদে আবেদন জানাবো।’

২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ৭৭ বছর বয়স্ক মাহদি। ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায়ই বেকারত্ব, দুর্নীতি ও সরকারি সেবার দুরবস্থার কারণে জনঅসন্তোষে পড়তে হয় তার সরকারকে।

দেশজুড়ে শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন, যা পরে সহিংসতায় রূপ নেয়।

এ নিয়ে অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪৫ : ইরাকের বাগদাদসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আড়াই শতাধিক।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দেশটির তিন শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির মুখে পড়তে হয় বিক্ষোভকারীদের। এতে গুলিতে মারা যান ৪৫ জন।

নাসারিয়া শহরে আন্দোলনকারীরা দুটি ব্রিজ অবরোধ করে। এসময় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী গুলি ও টিয়ার সেল ছুঁড়ে। এতে নিহত হয় ২৯ জন। নাজাফ শহরে মারা গেছে আরও ১২ জন। বুধবার রাতে এখানেই ইরানি দূতাবাসে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। বাগদাদে নিহত হয়েছেন আরও ৪ জন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গত বুধবার রাতে ইরাকের সরকার বিরোধী আন্দোলন ভয়াবহ আকার নেয়। ওই রাতে নাজাফের ইরানি কনসুলেটে হামলা চালান ইরাকের সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারীরা। তারা কনসুলেটের মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইরাকি বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীরও ৩২ জন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে কার্ফু জারি রয়েছে নাজাফে। কিন্তু বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ ইরাকের আর এক শহর নাসিরিয়ায়।

প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থানের সংকট, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গেল মাস থেকে রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ইরানসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন দেশের প্রভাব নিয়ে ক্ষোভ জানায় সরকারবিরোধীরা। এখন পর্যন্ত এই বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ মানুষ। সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!