• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
কেএসআরএমের এমডিসহ আসামি অজ্ঞাত

পদদলনে নিহতের ঘটনায় মামলা


আদালত প্রতিবেদক মে ১৫, ২০১৮, ১১:৫৭ পিএম
পদদলনে নিহতের ঘটনায় মামলা

ঢাকা : ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলনে দশ নারীর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবারের ওই ঘটনায় নিহত হাসিনা আক্তারের স্বামী মো. ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এতে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এ ঘটনার অবতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সাতকানিয়া থানা সূত্র জানায়, মামলায় শিল্প গ্রুপ কবির স্টিল রি-রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ কাজে নিয়োজিত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বাদী দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনেছেন। সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পদদলনে নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। এরা হলেন মক্কারবাড়ি মাদার্শা এলাকার ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে মুরিদুল আলম প্রকাশ মুরাদ (২৭), পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গার জাকির হোসেনের ছেলে মো. ইদ্রিছ (২৬), আমিলাইশ এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে হাবিব আহমদ সাহেদ (৩২) এবং হাঙ্গরমুখ এলাকার মো. ইদ্রিছের ছেলে আজগর আলী (২৮)।

সাতকানিয়া থানার ওসি রফিকুল হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন ইফতার সামগ্রী বিতরণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।  

এদিকে ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে অতিরিক্ত ভিড় ও পদদলনে নিহতদের লাশ কোনো ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। গত রাতেই নিহতের স্বজনরা পুলিশের কাছ থেকে এসব লাশ নিয়ে যান। পরে পারিবারিকভাবে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু মামলা দায়ের হওয়ার পর ময়নাতদন্তের প্রশ্নটি এখন সামনে চলে এসেছে।  

চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, যে মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয় সেখানে অবশ্যই মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রশ্ন আসবে। এখন বাদী যেহেতু অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির জন্য মারা গেছেন, তা প্রমাণ করতে হলে তো কীভাবে মারা গেলেন তা জানতে হবে। আর তা জানতে হলে ময়নাতদন্ত করতে হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভূঁইয়ার কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, যে ধারায় বাদী অভিযোগ দিয়েছেন সে ধারায় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নাও হতে পারে। তারপরও বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত সোমবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন নলুয়া এলাকায় কাদেরিয়া মঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে কেএসআরএম গ্রুপের ইফতার সামগ্রী আনতে যান ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

এ সময় সেখানে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান দশ হতভাগ্য নারী। আহত হন  আরো অন্তত ৩০ জন। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মশহুদুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!