• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা সেতু রেল সংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সুবিধা প্রদান শুরু


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মার্চ ৬, ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম
পদ্মা সেতু রেল সংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সুবিধা প্রদান শুরু

ছবি : সোনালীনিউজ

মুন্সীগঞ্জ : নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। বুধবার (৬ মার্চ) সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাব এ কার্যক্রমের উদ্বাধন করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ে  সহোযাগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারী সংস্থা ডরপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়াজন করে।

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি ১০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝে পুনর্বাসন সুবিধার চক প্রদান করেন।

এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, যে দেশে রেলপথ যত উন্নত সেদেশ তত বেশি উন্নত। আর বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে রেলের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে রেল ব্যবস্থা হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল, মানুষকে বেকার করে দিয়েছিল।

আরও বলেন, এই রেল লাইন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কি. মি.। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। মুন্সীগঞ্জে ৬৭১ জন ক্ষতিগ্রস্তকে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বুধবার ১৭৫ জনকে চেক দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সংযাগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পদ্মাসেতু বাস্তাবায়ন হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ ও রেল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১ শতাংশ যুক্ত হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০ কিংবা ৪০ সাল ডেলটা পরিকল্পনার মাধ্যমে ১০০ বছর পরের বাংলাদশকে আমরা কোন পর্যায় দেখতে চাই তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ এ কে এম সারোওয়ার জাহান বাদশা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম। প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিএসসি’র প্রধান সমন্মায়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, ডর্প-এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান, ক্ষতিগ্রস্ত মো. নেয়ামত উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে ডর্প পিবিআরএলপি পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্প ৮২.৩৫ কিলামিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিত ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালর মধ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য কাজ চলছে। প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!