• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন

পদ্মার তলদেশ দিয়ে চরাঞ্চলে যাবে বিদ্যুৎ


শরীয়তপুর প্রতিনিধি এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৩:১৪ পিএম
পদ্মার তলদেশ দিয়ে চরাঞ্চলে যাবে বিদ্যুৎ

শরীয়তপুর: পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে  ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়ায় উপকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সাংসদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এ ছারাও পদ্মা নদী দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজের উদ্বোধন করা হয়।

দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের ও সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে শরীয়তপুরের চারটি ও চাঁদপুরের তিনটি ইউনিয়ের ২০ হাজার পরিবারকে।

শরীয়তপুর জেলার মাঝ দিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা, নওপাড়া,ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপির, এলাপুর ও জহিরাবদ ইউনিয়ন পদ্মা মেঘনা নদীর দুর্গম চরে অবস্থিত।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর তীর হতে চরগুলোর দুরত্ব ছয় হতে সাত কিলোমিটার। ওই দুরত্ব দিয়ে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারছিলনা। শরীয়তপুর ২ আসনের সাংসদ এনামুল হক শামীমের উদ্যোগে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওই চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু করে। মুন্সিগঞ্জ আর নড়িয়ার নওপাড়ার মাঝে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। ওই এক কিলোমাটার অংশ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়।

সাতটি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ২৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ চলছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য নওপাড়া এলাকায় ১০ মেঘাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মান করা হচ্ছে। স্থানীয় মুন্সি পরিবার উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দুই একর ২৫ শতাংশ জমি দান করেন।

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজ ও সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন উদ্বোধনের পর উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এএইচ এম মোবারক আলী, নড়িয়া পৌরভার মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ি, নওপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাকির সুন্সি প্রমুখ। উপস্তিত ছিল এটিএন বাংলার সাংবাদিক আরিফিন।

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, আমার নির্বাচনি ওয়াদা ছিল দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া। পদ্মা নদীতে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্য এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের সকল পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!