পরিত্যক্ত জুটমিলে নিয়ে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ

ঢাকা: রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে হবিগঞ্জে ফিরছিলেন তাঁরা মা ও মেয়ে। কিন্তু নরসিংদীর শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বিকল হয়ে যায় বাসটি। এ সময় স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি তাঁদের আরেকটি বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে এক পরিত্যক্ত জুটমিলে নিয়ে গণধর্ষণ করে।  

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৃষ্টিঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সৃষ্টিঘর এলাকার দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও শফিক (২৫)। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিক মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার (১৫মার্চ) বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে হবিগঞ্জে ফিরছিলেন তাঁরা মা-মেয়ে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বিকল হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি তাঁদের আরেকটি বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সামনের দিকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা মেয়েকে টেনে নিয়ে যান। মেয়েকে ফেরাতে মা দৌড়ে যান। এরপর স্থানীয় একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরের দুটি কক্ষে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই ছয় ব্যক্তি। মা-মেয়ের চিৎকারে আসামিরা পালিয়ে যান।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় শিবপুর থানার পুলিশ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পর দেলোয়ার ও শফিক পুলিশের কাছে ধর্ষণের  কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই মা ও মেয়ের বয়স যথাক্রমে ৫২ ও ৩০ বছর।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ আমীরুল হক শামীম বলেন, মা-মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আগামীকাল সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার এই বিষয়ে বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমেনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার দুই আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা হলেন মো. মোখলেছ (৩২), মো. বাদল (৪২), বাবু মিয়া (২৫) ও মো. আলমগীর (৪০)। সবার বাড়ি শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই